সর্বস্তরে শুদ্ধতম বাংলা ভাষার চর্চাটা যেন অব্যাহত থাকে : শাওন

Looks like you've blocked notifications!
গাজীপুরের নূহাশপল্লীতে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে মেহের আফরোজ শাওন। ছবি : এনটিভি

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও লেখক হুমায়ূন আহমেদের ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটে তাঁর স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেছেন, বড় শহরের ধনী পরিবারের ছেলেমেয়েরা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করায় বাচ্চাদের মধ্যে বাংলার একটি ভয় ঢুকে যায়। হুমায়ূন আহমেদের দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়ে সর্বস্তরে শুদ্ধতম বাংলা ভাষা চর্চাটা যেন অব্যাহত থাকে। আজ রোববার সকালে গাজীপুর সদরের পিরুজালী গ্রামের নূহাশপল্লীতে এসব কথা বলেন মেহের আফরোজ শাওন।

মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বড় বড় শহরের ধনী পরিবারের ছেলেমেয়েরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা করে। তাই বাচ্চাদের মধ্যে বাংলার একটি ভয় ঢুকে যায়। বিশেষ করে করোনা মহামারির কারণে শিশুরা অনলাইনে ক্লাস করায় অনেক শিশু মোবাইলের দিকে ঝুঁকে গেছে। বাবা-মাই শিশুদের হাতে মোবাইল তুলে দিচ্ছে। হুমায়ূন আহমেদের দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়ে সর্বস্তরে শুদ্ধতম বাংলা ভাষার চর্চাটা যেন অব্যাহত থাকে।

নূহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, গতকাল শনিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামের নূহাশপল্লীতে এক হাজার ৭৪টি মোমবাতি প্রজ্জ্বালন করেন নূহাশপল্লীর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। খুব ভোরে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ছেলে নিশাত ও নিনিতকে নিয়ে নূহাশপল্লীতে আসেন। পরে সকালে তিনি দুই ছেলেসহ নূহাশপল্লীর কর্মকর্তা-কর্মচারি ও ভক্তদের নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। তাঁরা লেখকের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ, কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করেন।

উল্লেখ্য, হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি মারা যান। পরে গাজীপুরের নূহাশপল্লীতে তাঁকে সমাহিত করা হয়।