সহিংসতা নারীর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে : প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারীর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা নারীদের সকল ধরনের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরিবার থেকেই সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ মঙ্গলবার রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় কমনওয়েলথ উইমেন্স ফোরামে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত, সহিংসতা প্রতিরোধ এবং আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে। এলক্ষ্যে সরকার পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন, যৌতুক নিরোধ আইন, ডিএনএ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন বিচার ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বৃদ্ধি ও ডিজিটাল ব্যবস্থায় নারীদের নিরাপত্তার জন্য সাইবার সিকিউরিটি ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে। সংশোধিত শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ড’ করা হয়েছে। আইনের কঠোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি দ্রুত নিশ্চিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা নির্ভর করে সামাজিক অবস্থা ও মূল্যবোধের ওপর। আমরা রাতারাতি সামাজিক অবস্থা বদলে ফেলতে পারি না। তবে ধীরে ধীরে তা পরিবর্তন করতে পারব। নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করতে সরকারের সাথে বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। তবেই সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে, আমরা নারী ও শিশুর প্রতি সকল ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতামুক্ত দেশ ও পৃথিবী প্রতিষ্ঠা করতে পারব। এ লক্ষ্যে কমনওয়েলথভুক্ত ও অন্যান্য দেশ একসাথে কাজ করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেছেন, নারী নির্যাতন ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, সেল ও ট্রমা হেল্প সেন্টারকে উত্তম চর্চা হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ অনুসরণ করছে। আট হাজার কিশোর-কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন সৃষ্টি করতে সহিংসতা, বাল্য বিয়ে ও যৌতুক রোধ বিষয়ে কিশোর-কিশোরীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।