সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম মুক্ত

Looks like you've blocked notifications!
পাঁচদিন কারাভোগের পর আজ রোববার বিকেলে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম। ছবি : এনটিভি

পাঁচদিন কারাভোগের পর অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম। আজ রোববার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন।

কারাগারের বাইরে গণমাধ্যমকর্মী, সহকর্মী ও স্বজনরা রোজিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে একটি মাইক্রোবাসে করে তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে যান স্বজনরা। গাড়ির সামনের চালকের পাশের সিটে বসে থাকা রোজিনাকে এ সময় বিধ্বস্ত লাগছিল।

এর আগে সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ আদালত রোজিনা ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেন। আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন এবং পাসপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

 সেই জামিনাদেশ কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার হয়ে কাশিমপুরে কারাগারে পৌঁছে। আদেশ পাওয়ার পর পরই মুক্তি মিলে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের।

বিকেলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কপারাগারের জেলার মাহবুব ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা জামিনাদেশ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছি।’

এদিকে রোজিনা ইসলামের জামিন হওয়ার পর সকাল থেকেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকের সামনে অবস্থান নেন গণমাধ্যমের কর্মীরা। রোজিনার জামিনের আদেশকে বিজয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা।

এ ছাড়া সেখানে ছিলেন রোজিনার পরিবারের সদস্যরাও। তাদের মধ্যে ছিলেন রোজিনার বোন লীনা আক্তার, দেবর জাহিরুল ইসলাম, ভগ্নিপতি প্রিন্স জাকারিয়া, ভাগনি মারিয়া রাউকি, সাংরিল ও ননদ রোজি আক্তার।

গত ১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সচিবালয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হয় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে। এ সময় তাঁকে হেনস্তা করা হয়। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বজনদের দাবি, শারীরিক ও মানসিকভাবে তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার কথা বলে রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পৌনে ৯টার দিকে তাঁকে থানায় আনা হয়। গভীর রাতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি গোপনীয় নথি চুরির মাধ্যমে সংগ্রহ এবং ওই নথি দ্বারা বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক নষ্ট করার অপচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।