সাতকানিয়ায় কমছে মামলা জট, রেকর্ড সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি

Looks like you've blocked notifications!
সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালত। ছবি : এনটিভি

দীর্ঘদিন মামলাজটের পর এবার মামলা নিষ্পত্তিতে রেকর্ড করেছেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালত। এক বছরে (সরকারি ছুটি ব্যতীত) কর্মদিবসে নিষ্পত্তি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের এক হাজার ২৩৬টি মামলা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অধিক সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি হাওয়ায় বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা বাড়ছে মানুষের। পাশাপাশি কমছে মামলার ব্যয় ও ভোগান্তি। আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বিচারপ্রার্থী ও বিচারকার্য সহায়তায় নিয়োজিত একাধিক আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। 

সাতকানিয়ার জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল। আদালতের সেরেস্তাদার সন্তোষ ভট্টাচার্য বলেন, ‘স্বত্ত্ব ও অপর মামলা চার হাজার আটশ ৯২টি, পারিবারিক মামলা ৯৬টি, মানি মামলা ১১টি, অগ্রক্রয় মামলা ৮৩টি, অন্যান্য মামলা ১৯৩টি, পারিবারিক মামলা নয়টি, ঘর ভাড়া মামলা ১১টি, আপিল মামলা দুটি, অর্পিতা মামলা ২৭৮টি, অপর জারি মামলা ৭৬টি, পারিবারিক জারি মামলা ১৭৭টি, মানি জারি মামলা একটি, অর্পিতা মিচ মামলা সাতটি মিলিয়ে মোট পাঁচ হাজার ৮৩৬টি মামলা চলমান ছিল। তার মধ্যে মোট এক হাজার ২৭৬টি মামলা নিষ্পত্তি হয়।’

পুরো বছরে কর্মদিবস ছিল ২৩৬ দিন। প্রতি কর্মদিবসে গড়ে পাঁচটিরও বেশি মামলা নিষ্পত্তি হওয়া সরকার ঘোষিত বিচার বিভাগে গতিশীলতা আনয়নে ব্যাপক সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সাতকানিয়ার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ও সাতকানিয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন কচির। 

তিনি বলেন, ‘গত বছরে অধিক সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। ফলে বিচার প্রাপ্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা অবসান হচ্ছে। এই সংস্কৃতি চালু থাকলে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা আরও অনেক বেশি বেড়ে যাবে।’

সাতকানিয়ার জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘মানুষ যত তাড়াতাড়ি বিচার পাবে, ততই বেশি বিচার বিভাগের আস্থা বাড়বে। আশা করি দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি সংস্কৃতি অব্যাহত থাকবে।’

আইনজীবী সহকারী নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘বিচারের জন্য আদালত প্রাঙ্গণে বছরের পর বছর ঘোরাঘুরির দিন শেষ হয়ে আসছে। বিচারালয়ে অনেক বেশি গতিশীলতা এসেছে। ফলে বিচার বিভাগের প্রতি বাড়ছে মানুষের আস্থা ও শ্রদ্ধা।’