সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের অভিজ্ঞতা শুনবে বর্তমান ইসি

Looks like you've blocked notifications!
নির্বাচন কমিশন। ছবি : সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে করেছে বৈঠক। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সংলাপের সিদ্ধান্ত আছে কমিশনের। এর আগেই সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের অভিজ্ঞতা জানতে চান তাঁরা। এ উপলক্ষে দেশ স্বাধীন থেকে শুরু করে এখন অবধি যতো নির্বাচন কমিশনার এসেছেন, তাঁদের (জীবিত) আমন্ত্রণ জানাতে দ্রুতই পাঠানো হবে চিঠি। সংলাপ থেকে সাবেকদের অভিজ্ঞতা জেনে, বুঝে ও বিচার-বিশ্লেষণ করে এগোতে চায় বর্তমান ইসি।

জানা গেছে, ইসিতে ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৩ বার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) এই সংখ্যা অর্ধশতাধিক।

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারা না পারাকে কেন্দ্র করে এসব কমিশনারের মধ্যে কেউ হয়েছেন আলোচিত, কেউ হয়েছেন সমালোচিত। তারপরও তাঁরা নির্বাচন পরিচালনায় অভিজ্ঞ। এ জন্য তাঁদের অভিজ্ঞতা শুনতে আগামী ১২ জুন সংলাপের আয়োজন করতে যাচ্ছে ইসি।

আজ বুধবার বিকেলে ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক ও যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে সংলাপের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়োগ পাওয়া কমিশনারদের মধ্যে যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদের সংলাপের অংশগ্রহণ করার আমন্ত্রণ জানানো হবে। দ্রুতই তাঁদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে যাবে। সাবেক কমিশনারদের বাস্তব অভিজ্ঞতা শুনবে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বধীন কমিশন।

এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বসার আগে আগামী ৯ ‍জুন নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি। ইসির নিবন্ধনে থাকা ১১৮টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার মধ্য থেকে ৩০ থেকে ৩৫টি সংস্থার প্রতিনিধিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। পরে ১২ জুন নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বসবে ইসি।’

ইসি সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত মোট ১৩ জন সিইসি ও সঙ্গে অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বর্তমান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ ছাড়া বাকি ১২ জন সাবেক সিইসি হলেন সদ্য সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদা, কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, ড. এ টি এম শামসুল হুদা, বিচারপতি এম. এ. আজিজ, এম এ সাইদ, মোহাম্মদ আবু হেনা, বিচারপতি এ কে এম সাদেক, বিচারপতি মো. আব্দুর রউফ, বিচারপতি সুলতান হোসেন খান, বিচারপতি চৌধুরী এ টি এম. মাসুদ, বিচারপতি এ কে এম. নুরুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইদ্রিস।

বাংলাদেশের প্রথম সিইসি ছিলেন বিচারপতি এম ইদ্রিস৷ ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই থেকে ১৯৭৭ সালের ৭ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি ৷ ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে ইদ্রিস কমিশন৷ সে সময় রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। নির্বাচনে ২৯৩ আসন জিতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। জাসদ ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগ একটি করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পাঁচটি আসন পায়। এরপর থেকে একে একে মোট ১৩টি নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছেন সাবেক ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি।