সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলার নিম্নাঞ্চল ৫ ফুট পানিতে প্লাবিত

Looks like you've blocked notifications!
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলার নিম্নাঞ্চল পাঁচ থেকে সাত ফুট পানিতে প্লাবিত। ছবি : এনটিভি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলার নিম্নাঞ্চল পাঁচ থেকে সাত ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত আর ঘর ও গাছের নিচে চাপা পড়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকশত গবাদিপশু পানিতে ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

আজ সোমবার সকাল থেকেই ভারি বৃষ্টিপাত আর সেই সঙ্গে ঝড়ো বাতাস শুরু হয়। ফলে উত্তাল হয়ে উঠে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী। ভাটার সময় ভোলা সদর উপজেলার তুলাতলীর মেঘনা নদীর পাড়ে দুটি মাছ ধরার ডুবে যায় এবং তিনটি ভেঙে যায় পানির ঢেউয়ের তোড়ে। মাঝের চর, মেদুয়া, মদনপুর, চর চটকিমারাসহ জেলার অন্তত ২৫-৩০টি মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর মধ্যবর্তী চরাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে।  

এদিকে চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচরে জোয়ারের সময় অন্তত পাঁচ থেকে ছয় ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মো. মোস্তফা মেম্বার জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পানির তীব্র স্রোতে অন্তত শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ঘর ও গাছের নিচে চাপা পড়ে রামিজ, কামরুল, মাহবুবসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত কয়েকশত গবাদি পশু পানির তোরে ভেসে গেছে বলে অভিযোগ করেন। তবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে বলেও তার ধারণা। 

অপরদিকে ঢলচরের চর আলমের মাছঘাট এলাকার বেশ কয়েকটি মাছের আড়ত বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ইউসুফ ফরাজী জানান। সেখানে ঘর রক্ষা করতে গিয়ে এবং ঘড় চাপায় অন্তত পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

চরফ্যাশন উপজেলা বাজারের ব্যবসায়ী নাফিজ পাটোয়ারী জানান, চরফ্যাশন বাজার সংলগ্ন বেশকিছু এলাকায় বহু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এসব গাছপালা ভেঙে পড়ায় চলাচল বন্ধ রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন, চরফ্যাশন, তজুমদ্দিন ও মনপুরাসহ আশপাশের এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেই। সব ঠিক রয়েছে। কোথাও কোনো সমস্যা নেই।