সিত্রাংয়ে চট্টগ্রামের উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

Looks like you've blocked notifications!
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে হয়েছে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি। ছবি : এনটিভি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের উপকূলীয় কয়েকটি উপজেলা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। রাতে বেড়িবাঁধ উপচে ও বিভিন্ন জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয়রা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলে সাগরের কাছাকাছি অবস্থান করা মানুষজনকে সরিয়ে নেওয়ায় প্রাণহানি হয়নি। তবে, সাগর ও নদীর পানির স্রোতে বেশকিছু বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলো হলো বাঁশখালী, আনোয়ারা, কর্ণফুলী ও বোয়ালখালী। এরমধ্যে বাঁশখালী ও বোয়ালখালী উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি।

বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী বলেন, ‘বেড়িবাঁধ ডিঙিয়ে ও ভেঙ্গে গণ্ডামারা ইউনিয়নে সাগরের পানি প্রবেশ করে স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ দুর্ভোগে পড়ে। দ্রুত মানুষকে সরিয়ে নিতে পাড়ায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া বাহারছড়া, খানখানাবাদ, ঈশ্বরবাবুর হাট, বড়ঘোনা, প্রেমাশিয়া, চাম্বল, পুইছড়ি শেখেরখীলে সাগরের জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের স্রোতে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। আজ মঙ্গলবার সকালে পানি নেমে গেলেও ভেসে ওঠে সিত্রাংয়ের ক্ষতচিহ্ন।’

লিয়াকত বলেন, ‘আনোয়ারা উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের স্রোতে বেড়িবাধ উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করে। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে উদ্ধার তৎপরতা ও জনগণকে সচেতন করা হয়েছিল।’

বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল, চরখিজিরপুর, চরণদ্বীপ, শাকপুরা এলাকায় কর্ণফুলী নদীর পানি বেড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করলে হাজারো মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রবেশ করে স্রোতের পানি। পটিয়া উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের কিছু এলাকায়ও পানি প্রবেশ করে।