সিনহা হত্যা মামলায় খালাস পেলেন যাঁরা

Looks like you've blocked notifications!

বহুল আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় প্রধান দুই আসামিকে আদালত মৃত্যুদণ্ড দিলেও খালাস পেয়েছেন সাত জন। আজ সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. লিটন মিয়া (৩০), কনস্টেবল ছাফানুর করিম (২৫), মো. কামাল হোসাইন আজাদ (২৭), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান আলী (৪৭), কনস্টেবল মো. রাজীব হোসেন (২৩) ও আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (২০)।

অপরদিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলী। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত (৩০), কনস্টেবল সাগর দেব, ওসি প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা (৩০), স্থানীয় বাসিন্দা বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন (২২), মো. নিজাম উদ্দিন (৪৫) ও মোহাম্মদ আইয়াজ (৪৫)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডদের বিচারক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয়মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে আজ দুপুর ২টার দিকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় সাবেক (ওসি) প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাঁদের আদালতের কাঠগড়ায় রাখা হয়। তাঁদের উপস্থিতিতে এ মামলার রায় ঘোষণা হয়। রায়কে ঘিরে সকাল থেকে কক্সবাজার জেলা আদালত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। সে সময় আদালতের ফটকসহ সবদিকে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

অপরদিকে আদালতে রায় শুনতে আসা উৎসুক জনতা কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে মিষ্টি বিতরণ করেন। একই সময়ে আসামিদের লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করতেও দেখা যায় উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতাকে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে গুলিতে নৃশংসভাবে খুন হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।