সিলেটে পানি অপসারণে রাস্তা কাটতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : ফোকাস বাংলা

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সিলেটের বন্যাদুর্গতদের জন্য শুকনো খাবার পাঠানো হচ্ছে। আর মন্ত্রণালয় থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, কোথাও কোনো রাস্তার কারণে পানি অপসারণে বাধা পেলে সেই রাস্তা যেন কেটে ফেলা হয়।

আজ শনিবার বিকেলে মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সিলেট অঞ্চলের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, সিলেটে গতকাল পর্যন্ত ৪০ শতাংশ এলাকা জলমগ্ন ছিল। তবে এখন প্রায় সব এলাকাই জলমগ্ন হয়ে গেছে। হাসপাতালে পানি ঢুকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। আমি তাৎক্ষণিক সিটি মেয়রকে বলেছি জেনারেটরের ব্যবস্থা করে আইসিইউয়ের রোগীদের যেন রক্ষা করা যায়। তারা জেনারেটর নিয়ে সেখানে যাচ্ছে।  

তিনি বলেন, সবাই যার যার জায়গা থেকে কাজ করছে। আমাদের সেনাবাহিনী অত্যন্ত ভালো ভূমিকা পালন করছে। বন্যার্তদের সহযোগিতা করতে গিয়ে তাদেরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, সিলেটের বেশিরভাগ রাস্তা তলিয়ে গেছে, রাস্তার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, কোথাও কোনো রাস্তার কারণে পানি অপসারণে বাধা পেলে সেই রাস্তা যেন কেটে ফেলা হয়। এর দায়িত্ব স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে দেওয়া হয়েছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, সুনামগঞ্জেরও একই অবস্থা। সেখানে কোমর সমান পানি। ওই এলাকার মানুষকে বাঁচাতে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। তারা বন্যাদুর্গত এলাকার খোঁজখবর রাখছেন। সেসব এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, যে সমস্ত টিউবওয়েল রাইজ করার সুযোগ আছে, সেগুলো রাইজ করে দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা থেকে মিস্ত্রি পাঠানো হচ্ছে। প্রত্যেক জেলায় যে স্টক আছে, সেখান থেকে তা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে যুগ্ম সচিব জসিম উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। তারা জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ রাখছে।