সিলেটে বিমানবন্দরের উন্নয়নকাজে ধীরগতি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অসন্তোষ
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল তৈরির কাজে ধীর গতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, কাজের ধীর গতির কারণ খতিয়ে দেখা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটে পৌঁছে বিমানবন্দরের উন্নয়নকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনের সময় অসন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কাজের সময় বৃদ্ধি হয় অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশে, কিন্তু চায়নারা এমনটা করার কথা না। কাজে কেন ধীর গতি, এটা বোধগম্য নয়।’
এর আগে প্রকল্প পরিচালক কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান। তিনি জানান, ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে কাজ শুরু হয়। এরপর মূল প্রকল্পের ৩৩ মাসের মধ্যে ২৬ মাসে মাত্র ২০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আরও পাঁচ মাস বৃদ্ধি করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করার কথা। পরে মন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করে অনুসন্ধানের কথা বলেন।
এরপর করদাতাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। আজ দুপুরে বড়শালা এলাকায় একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিলেট কর অঞ্চল। এবার সিলেট কর অঞ্চলে ৮৩৫ কোটি টাকা কর আদায় হয়। তার মধ্য থেকে সেরা ৩৫ করদাতাকে পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘যারা আয়কর দেয়, শুধু তাদের ওপর ট্যাক্সের চাপ বাড়ানো হয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র পাঁচ শতাংশ আয়কর দেন, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এই উপমহাদেশে বিষয়টি লজ্জার।’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী নতুন আয়করদাতাদের খোঁজার তাগিদ দেন।
প্রবাসীদের নানা সুযোগ-সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসীরা বিদেশে বসে এনআইডি পাবে এবং এনআইডি অনুযায়ী তাদের পাসপোর্ট দেওয়া হবে।’