বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেট থেকে ভারত-মিয়ানমার হয়ে সড়কপথ যাবে থাইল্যান্ডে

Looks like you've blocked notifications!
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) আয়োজনে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ছবি : এনটিভি

সিলেটের তামাবিল থেকে ভারত-মিয়ানমার হয়ে সড়কপথ যাবে থাইল্যান্ডে। যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটা হাব হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। ভারত এতে সম্মত হয়েছে। অন্য দেশের সঙ্গেও আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। আজ বুধবার বিকেলে নগরীর রেজিস্ট্রি মাঠে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) আয়োজনে তাঁকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছি তাতে আমরা সফল হয়েছি। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশ্বের প্রায় দুইশত ছত্রিশটি দেশের স্বনামখ্যাত ব্যক্তিত্ব, ১৯৪টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

ড. মোমেন বলেন, আমাদের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সারা দেশে বিশেষ করে সিলেটের জন্য যে উন্নয়নের প্রকল্প হাতে নিয়েছেন. সিলেটবাসী এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করায় তিনি সিলেটবাসীকে ধন্যবাদ জানান।

সিসিকের সংবর্ধনা আয়োজনের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের মেয়র অন্য রাজনৈতিক মতাদর্শের হলেও উন্নয়নের ক্ষেত্রে মতপার্থক্য থাকবে না। তাঁকে নিয়েই আমরা কাজ করে যাব।

সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের উদ্যোগে ছোট আয়তনের সিসিকের এলাকা বর্তমানে আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সিলেটবাসীর জীবনমানের উন্নয়নে ড. মোমেনের উদ্যোগ ও ভূমিকা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, সিলেট মহানগরকে এশিয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় ও মডেল শহরে রূপান্তর করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নির্দেশনায় অনেকগুলো প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন, সিলেট শহরের সড়কের পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, হাসপাতালের উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নসহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন যে ভূমিকা পালন করেছেন তার জন্য সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বক্তারা।

সভাপতির বক্তব্যে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে আনা এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ ও সিলেট নগরীর উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছেন। তাঁর প্রতি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

নাগরিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিসিবি পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিনিয়র সাংবাদিক আল আজাদ, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি তাহমিদ আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রফিকুল হক প্রমুখ।

এ ছাড়া সিসিকের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতারাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ নাগরিক সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন।