সীমান্ত পরিস্থিতি কূটনীতিকদের জানাল বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম। ছবি : সংগৃহীত

সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের মর্টারশেল ও গোলা নিক্ষেপের ঘটনা ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের অবহিত করেছে বাংলাদেশ। ঘটনার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের সহায়তাও চাওয়া হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে কূটনীতিকরা আসলে তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম। এসময় বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তিতে বিশ্বাসী বলে কূটনীতিকদের জানান তিনি। 

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত কূটনীতিকদের সঙ্গে এ বৈঠকের পর এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করে খুরশেদ আলম জানান, আমরা বাংলাদেশে নিযুক্ত সব দেশের কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। সীমান্তে অব্যাহত উসকানিতে মিয়ানমার যেন কোনো ধরনের ফায়দা নিতে না পারে, এজন্য রাষ্ট্রদূতদের পরিস্থিতি অবহিত করা হয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যে ধরনের গোলযোগই থাকুক না কেন, আমাদের দেশের সীমানায় তাদের (মিয়ানমার) গোলা, মর্টারশেল আসা অগ্রহণযোগ্য, এ বিষয়ে সব দেশের কূটনীতিকরা একমত হয়েছেন। কূটনীতিকরা আমাদের বিষয়টি তাদের নিজ নিজ দেশকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আমাদের ডাকা সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মিসর, তুরস্ক, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের দেশের কূটনীতিকরা এসেছেন। তবে, চীনের কোনো কূটনীতিক কিংবা দেশটি ঢাকা দূতাবাসের কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেননি।

কূটনীতিকরা বাংলাদেশের অবস্থানে সন্তোষ প্রকাশ করে আশ্বাস দিয়েছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘে গেলে বাংলাদেশকে সহায়তা করবেন তারা।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খুরশেদ আলম বলেন, ‘মিয়ানমারের মর্টারশেল ও গোলা নিক্ষেপের ঘটনা এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে ফেলবে। কাজেই মিয়ানমার সরকারকে এটা বুঝতে হবে। তাদের বুঝতে হবে, বাংলাদেশ হলো পশ্চিমে, দক্ষিণে আরাকান আর্মি। তাদের গোলা কোনোভাবেই বাংলাদেশে আসার কথা নয়।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে খুরশেদ বলেন, ‘আমরা সর্বস্তরেই মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি যাতে মিয়ানমার বুঝতে পারে, এ রকম একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তাদের জন্যও বিপজ্জনক। আমরা এটা কোনোভাবেই গ্রহণ করব না।’