সুনামগঞ্জে ফসল ডুবির ঘটনায় মন্ত্রণালয় তদন্ত করবে : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, ‘হাওরের বাঁধের কাজে অনিয়মের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই। এর তদন্ত করবে মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রথম শ্রেণির ২২ ঠিকাদার কালো তালিকায় আছেন। সুনামগঞ্জের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনার থাল হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন শেষে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, ‘সুনামগঞ্জে হাওরের ঘটনায় রোববার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেব। সে তদন্ত কমিটি সুনামগঞ্জে এসে সুষ্ঠু তদন্ত করবে। সে তদন্তে যদি হাওরের বাঁধের কাজে কোনো সরকারি কর্মকর্তা কিংবা পিআইসির কেউ জড়িত থাকে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।’
শামীম আরও বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে সুনামগঞ্জে নদী ও খাল খনন করে স্থায়ী বাঁধের কাজ করা হবে। আর বাঁধ স্থায়ী হলে আগাম বন্যা থেকে সুনামগঞ্জের হাওরের ফসল বাঁচবে।’
উপমন্ত্রী জানান, সুনামগঞ্জে এ বছর ৫৩০ কিলোমিটার বাঁধের কাজ করা হয়েছে। এর মধ্যে দেড়শ মিটার বাঁধের ক্ষতি হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুট রশীদ, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম।