সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের পাশে কোটালীপাড়ার জ্ঞানের আলো পাঠাগার

Looks like you've blocked notifications!
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দিচ্ছে জ্ঞানের আলো পাঠাগারের স্বেচ্ছাসেবীরা। ছবি : এনটিভি

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে জ্ঞানের আলো পাঠাগার নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী এই প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা ট্রলারযোগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।

পাশাপাশি কয়েকটি স্থায়ী বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্পিং এর মাধ্যমে ৩ শতাধিক ব্যক্তিকে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ করে সংগঠনটি। বিতরণকৃত খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, লবণ, মুড়ি ও সাবান। সপ্তাহব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বন্যাদুর্গতদের মাঝে সংগঠনটির উদ্যোগে খাদ্য ও পোশাকসামগ্রী এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্যরা।

গত বুধবার সকালে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ত্রাণ ও মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান কবির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর খোকন, জ্ঞানের আলো পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান পারভেজ, সিনিয়র সদস্য দিদার খান প্রমুখ।

জ্ঞানের আলো পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান পারভেজ বলেন, সুনামগঞ্জ জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখে আমরা কোটালীপড়া উপজেলাবাসীর কাছে সহায়তা চাই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু উপহার দিয়ে সহায়তার জন্য। এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ কিছু আর্থিক অনুদান করেছেন। আর এইসব আর্থিক অনুদান দিয়ে এই উপজেলার বন্যা কবলিতদের মাঝে সহায়তা করা হচ্ছে।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য ও ওষুধ সামগ্রী দিচ্ছে জ্ঞানের আলো পাঠাগারের স্বেচ্ছাসেবীরা। ছবি : এনটিভি

দক্ষিণশ্রীপুর ইউনিয়নের ইকরামপুর গ্রামের পক্ষাঘাতগ্রস্ত রঞ্জন সরকার খাদ্য ও ওষুধ সামগ্রী পেয়ে বলেন, আজ অনেক আনন্দ লাগছে। বন্যার কারণে কোন কাজকর্ম নেই পরিবারের সবাই বেকার হয়ে পড়েছে। জ্ঞানের আলো পাঠাগারের ত্রাণ পাইয়ে ভালা লাগছে।

খলাহাটি গ্রামের শুকুরোন বেগম বলেন, অনেক কষ্ট। ঘরে খাওনদাওন নাই। কোথাও ভিক্ষাও চাইতে পারি না। আজ ত্রাণ পেয়ে উপুকার হইলে।

৮০ বছরের বৃদ্ধা বেবী রানী বলেন, দুই-তিনদিন ধইরা ঠান্ডা লাগছে, ওষুধ কেনার সার্মথ্য নাই। আইজ ত্রাণের সাথে ওষুধও দিছে প্রধানমন্ত্রীর এলাকার জ্ঞানের আলো পাঠাগার। খুব স্বস্তি লাগছে।