সেতুমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি বিএনপির

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির লোগো তাদের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সব দায় নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

গতকাল সোমবার (২০ মার্চ) বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই দাবি জানানো হয়। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে গত ১৯ মার্চ পদ্মা সেতুর শিবচর প্রান্তে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ২১টি প্রাণ ঝরে যাওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এই দুর্ঘটনার জন্য সরকারের সড়ক বিভাগ সম্পূর্ণ দায়ী। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সব দায় নিয়ে সেতুমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’

বৈঠকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সরকার দলীয় আইনজীবী ও পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলা, ভাঙচুর, গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা দায়ের এবং ভোট ডাকাতি করে নির্বাচনী প্রহসনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগ পুলিশকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করে সুপ্রিম কোর্টের পবিত্রতা ক্ষুণ্ন করেছে। আর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের এই আচরণ প্রমাণ করে, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারে না।’

হজ প্যাকেজের সর্বনিম্ন টাকার পরিমান হজ পালনে ইচ্ছুক ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলমানদের নাগালের বাইরে হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ কর হয় বৈঠকে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ভারত ও পাকিস্তানে এই অর্থের পরিমাণ প্রায় অর্ধেকের মতো। আর হজ প্যাকেজের অর্থের পরিমাণ কমিয়ে নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের আর্থিক সক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।’

গত ১৯ মার্চ রাতে ঢাকার বনানী ক্লাব হতে সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোমেন আলীসহ প্রায় ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় বৈঠকে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এই অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী  আন্দোলনকে দমন করার জন্য এই ধরনের হীন কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করছে। অবিলম্বে আটককৃত ব্যক্তিদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় বৈঠকে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।