সৌদিতে নিহত ওমরাহ যাত্রী সবুজের বাড়িতে বুকফাটা আর্তনাদ
সৌদি আরবে ওমরাহতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে সবুজ হোসাইনের গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। আজ বুধবার (২৯ মার্চ) ভোরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রায়পুরের গ্রামের বাড়িতে গেলে সবুজের বাবা-মাসহ স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গতকাল মঙ্গলবার মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে সবুজের বাবা-মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ আর কান্না থামছে না। সবুজ দক্ষিণ রায়পুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মো. হারুনের ছেলে। তারা চার ভাইবোন। এরমধ্যে সবুজ পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান।
সবুজের বাবা হারুনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি মাছ বিক্রি করে সংসার চালান। আর্থিকভাবে তেমন একটা স্বচ্ছল নন। প্রায় তিন বছর আগে বড় ছেলে সবুজকে ধার করে চাকরির উদ্দেশ্যে সৌদি আরব পাঠান। সেখানে তিনি একটি খাবার হোটেলের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সবুজের পাঠানো টাকাতেই পরিবার স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছে। সবুজ দেশে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মানুষের পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য দেশে আসার সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।
রোববার (২৬ মার্চ) ওমরাহতে যাওয়ার জন্য বাসের টিকেট কাটে সবুজ। বিষয়টি তিনি বাড়িতে মা পারুল বেগমকেও জানিয়েছেন। ওমরাহর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়ার আগেও মোবাইলফোনে বাড়িতে কথা হয়েছিল। কিন্তু পথে দুর্ঘটনায় সবুজ নিখোঁজ হয়। পরে সবুজের মৃত্যুর খবরে পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে আর্তনাদ শুরু হয়।