স্কুলছাত্রী জেসি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

Looks like you've blocked notifications!
মুন্সীগঞ্জে স্কুলছাত্রী জেসি মাহমুদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্বজন ও স্কুলছাত্রীরা। ছবি : এনটিভি

মুন্সীগঞ্জে স্কুলছাত্রী জেসি মাহমুদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে স্বজন ও স্কুলছাত্রীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে শহরে এই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে তারা।

শিক্ষার্থীরা সরকারি এ ভি জে এম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে প্রেসক্লাবের সামনে এসে জড়ো হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধনে জেসি মাহমুদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানায় স্বজন ও স্কুলছাত্রীরা।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের কোর্টগাঁও বন এলাকায় প্রেমঘটিত বিরোধের জেরে বিজয় রহমান ও তার আরেক প্রেমিকা আবিদা মারধর ও গলা চেপে ধরে গুরুতর আহত করে স্কুলছাত্রী জেসি মাহমুদকে।  হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ৮টায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেছে নিহত জেসিকার পরিবার। অভিযুক্ত আবিদা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব।

এ ঘটনার মূলহোতা বিজয় রহমানসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বিজয় রহমান (২২) জেলা শহরের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমানের ছেলে এবং আদিবা আক্তার পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহিদ হাসানের মেয়ে। পুলিশ আদিবাকে গতকাল বুধবার দুপুরে আটক করে। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আদিবা ও জেসি উভয়ের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক অভিযুক্ত বিজয়ের। সম্প্রতি বিজয় আদিবাকে বিয়ের পরিকল্পনা করছিলেন বলে জানতে পারে জেসি। এরপর জেসি বিজয়ের অপর প্রেমিকা আদিবাকে ‘জেসি ও বিজয়ের’ মধ্যকার একান্ত আলাপচারিতার ম্যাসেঞ্জার কথোপকথনের স্ক্রিনশট পাঠায়। সেটি দেখে আদিবা বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করে। পরে তারা সিদ্ধান্ত নেয় বিজয়ের বাসায় এ নিয়ে ফয়সালা করার। তারা তিনজন একসঙ্গে বিজয়ের বাসার পাঁচ তলার ছাদে মিলিত হয়। সেখানে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আদিবা ও বিজয় জেসির শরীরের বিভিন্ন অংশে কিল-ঘুষি মেরে জখম করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বিজয় জেসির গলা চেপে ধরলে ঘটনাস্থলেই সে অচেতন হয়ে পড়ে৷ পরে বিজয় স্থানীয় আরও কয়েকজনের সহায়তায় জেসিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং পরিকল্পিতভাবে ডাক্তারকে জানায়, সে ছাদ থেকে পড়ে গেছে।

গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পৌরসভার মধ্য কোর্টগাঁও এলাকার সৌদিআরব প্রবাসী সেলিম মাহমুদের মেয়ে আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন গভ. গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষার্থী জেসি মাহমুদকে (১৭) মৃত অবস্থায় নিয়ে আসে স্বজনরা। 

এ সময় ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শৈবাল বসাক জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে অচেতন অবস্থায় এই মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার ভাই পরিচয় দেওয়া এক যুবক। এ সময় মেয়েটি অচেতন অবস্থায় ছিল। অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।