স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্কুলছাত্র প্রবাল হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত অন্তর। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্কুলছাত্র প্রবাল হত্যা মামলায় চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল সোমবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. রমিজুল হক কিশোরগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্যাট আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন অন্তর (৩০), তার আপন ভাই অনিক (২৮), তার বাবা জিল্লুর রহমান (৬৫) ও সাকিব (২৫) নামে অপর একজন। মামলার তদন্তে খুনের সঙ্গে জড়িত না থাকায় চারজনকে অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন রাজন (২৩), তৌহিদ (২৫), নয়ন (২২) ও জেসান (২৭)।

এ তথ্য জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রমিজুল হক।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১ জুন বিকেলে স্কুলছাত্র প্রবাল (১৭)  বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে ওই দিন রাত ১০টার দিকে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি গুদাম ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় প্রধান অভিযুক্ত অন্তরসহ তার সহযোগীরা গা-ঢাকা দেন।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নিহত স্কুলছাত্র প্রবাল। ছবি : সংগৃহীত

ছেলে নিহতের ঘটনায় প্রবালের বাবা ইউপি চেয়ারম্যান মো. হোসেন ভূঁইয়া ছয়জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা করেন। ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যে পুলিশ ও র‌্যাব বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও প্রধান আসামি অন্তর পলাতক থাকেন। পরে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামি সাকিব আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে খুনের কথা স্বীকার করেন এবং এ ঘটনায় জড়িতদের নাম বলেন।

মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে পুলিশ। পরে তদন্তভার দেওয়া হয় পিবিআইকে। পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. রমিজুল হক প্রায় সাত মাস তদন্ত করে চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মো. রমিজুল হক জানান, এ মামলাটি ছিল ক্লো-হীন। খুনের নেপথ্যে ছিল আসামি অন্তর ও তার ছোট ভাই। অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল তার বাবা ও সাকিব। মামলাটি তদন্ত শেষে চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছি এবং খুনের সঙ্গে জড়িত না থাকায় অপর চারজনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রবালের বাবা ইউপি চেয়ারম্যান মো. হোসেন ভুঁইয়া জানান, দাখিল করা চার্জশিটের বিষয়ে তাঁর কোনো আপত্তি নেই। তবে তিনি মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে স্থানান্তরের দাবি করেন।