মেহেরপুরের গাংনী পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী আশরাফুল ইসলাম ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থীসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে শিশিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এছাড়া হামলাকারীরা আশরাফুল ইসলামের ব্যক্তিগত রিভলবার ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে, আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ তুলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আহম্মেদ আলী।

আহতদের কয়েকজনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী নাজমুল হোসেন (৩৫), উজ্জল হোসেন (২৫) ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক রোকনুজ্জামানকে (২৫) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী আশরাফুল ইসলাম জানান, আজ সোমবার দুপুরে তিনি ও তাঁর সমর্থকরা শিশিরপাড়ায় নির্বাচনী প্রচারে যান। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহম্মেদ আলীর সমর্থকরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আশরাফুল ইসলামসহ ছয়জন আহত হয়। এ সময় হামলাকারীরা আশরাফুল ইসলামের কাছে থাকা নয় রাউন্ড গুলিসহ ব্যক্তিগত রিভলবার ছিনিয়ে নিয়ে ফাঁকা গুলি করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে, পাল্টা অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আহম্মেদ আলী বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ব্যক্তিগত বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়। আশরাফুল ইসলামের রিভলভার জব্দ ও তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’