স্বামীর অবৈধ সম্পদের বৈধতা দিতে সহায়তা, দুদকের মামলায় প্রধান আসামি স্ত্রী
অবৈধভাবে সম্পদ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সাবেক নিয়ন্ত্রক মুন্সী রুহুল আমীন ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে স্ত্রীকে আর স্বামীকে করা হয়েছে দ্বিতীয় আসামি। সম্প্রতি দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বিষয়টি আজ রোববার (৭ মে) জানাজানি হয়। প্রধান আসামির বিরুদ্ধে স্বামীর অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদকে বৈধতা দানের উদ্দেশে সরাসরি সহায়তার অভিযোগ রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ও ২৬ (২) এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এক কোটি ৭৫ লাখ আট হাজার ৬০১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ৯৩ লাখ ১৪ হাজার ৪২৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
কানিজ ফাতেমার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সম্পদ বিবরণীর নোটিশ দিলে ২০২০ সালে ২১ ডিসেম্বর তিনি সম্পদ বিবরণী দুদকে দাখিল করেন। যেখানে তিনি এক কোটি ৭০ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭৭ টাকার সম্পদ প্রদর্শন করেন। যার মধ্যে ৯৩ লাখ ১৪ হাজার ৪২৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে দুদক প্রমাণ পেয়েছে। এ ছাড়া অনুসন্ধানের সময় এক কোটি ৭৫ লাখ ৮ হাজার ৬০১ টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এসব সম্পদ মূলত তার স্বামী রুহুল আমীনের অবৈধভাবে অর্জিত, যা তার নামে স্থানান্তরিত হয়। অনুসন্ধানের সময় প্রাথমিকভাবে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।