স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ শনিবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১টা ৩ মিনিটে সম্মেলনস্থলে পৌঁছান। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে স্লোগান আর করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। দলীয় নেত্রীকে বরণ করে নেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক নির্মল রঞ্জন গুহ ও সদস্য সচিব গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু।
মঞ্চে উঠে শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে অভিনন্দনের জবাব দেন। পরে শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে জাতীয় সংগীত গেয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় একযোগে ৬৪ জেলার পক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগের পতাকা উত্তোলন করেন জেলা সভাপতিরা।
১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক নেতাদের সমন্বয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। তবে তার আগেও এটির কার্যক্রম চলত। সেই পাকিস্তান আমলে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী। পাকিস্তান আমলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরামর্শ নিয়ে কর্মীরা ‘স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী’ নামে কাজ করতেন। ওই সময় এর প্রথম কার্যক্রম শুরু করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, পরবর্তী পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর নেতৃত্ব দেন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক।
আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী এ সংগঠনের এটি তৃতীয় সম্মেলন। সর্বশেষ ২০১২ সালে মোল্লা মো. আবু কাওছারকে সভাপতি ও পঙ্কজ দেবনাথকে সাধারণ সম্পাদক করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি হয়েছিল। এর মধ্যে ক্যাসিনোকাণ্ডে মোল্লা আবু কাওছারের নাম আশায় তাঁকে সংগঠন থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। আর সাংগঠনিক সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথকেও ভিন্ন কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কমিটির মেয়াদ তিন বছরের থাকলেও চলেছে আট বছরের বেশি।
সম্মেলনকে ঘিরে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মধ্যে সাজসাজ রব দেখা গেছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নিজ নিজ পক্ষে জোর তদবিরে ব্যস্ত সময় পার করেছেন সংগঠনটির নেতারা।
সম্মেলনে আরো উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপিসহ আরো অনেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদক