স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সফটওয়্যার তৈরির বিকল্প নেই : স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সফটওয়্যার তৈরি ও উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। ২০৪১ সালের মধ্যে এদেশ সুখী-সমৃদ্ধ-স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম ভিত্তি স্মার্ট সিটিজেনদের তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহারে দক্ষ হতে হবে।
নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত ‘বেসিস সফটেক্সপো ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।
বেসিস এর প্রেসিডেন্ট রাসেল টি. আহমেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বেসিস সফটেক্সপো ২০২৩ এর আহ্বায়ক আবু দাউদ খান স্বাগত বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বক্তব্য দেন।
স্পিকার বলেন, একাধারে আমাদের সফটওয়্যার নির্ভরশীলতা যেমন বাড়ছে, তথ্য-প্রযুক্তির নব নব আবিস্কার আমাদের সক্ষমতাকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করে চলেছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণদের দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে।
জাতীয় সংসদে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও উত্তরে ব্যবহৃত হার্ডকপিগুলো একটি সফটওয়্যার এর আওতায় আনার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বেসিসকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্পিকার বলেন, সংসদ সচিবালয়ের দাপ্তরিক কাজেও ই-ফাইলিং এর মাধ্যমে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে।
স্পিকার বলেন, প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরে আইসিটির প্রচার, প্রসার ও সফটওয়্যারের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। আইসিটি খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বেসিস সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে বেসিস সদস্যবৃন্দ, দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, আইটি উদ্যোক্তা, স্পন্সর প্রতিনিধি, দর্শনার্থী, আমন্ত্রিত অতিথি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।