সড়কে পড়ে রক্তাক্ত যুবকের ভিডিও করছিলেন পথচারীরা, অবশেষে মৃত্যু

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছবি তাদের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

রাজধানীর ওয়ারীর নিজ বাসা গভীর রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন মো. ইসরাক হোসেন যোশী (২৭)। গুলশানের নিকেতনে বন্ধুর বাসায় যাবেন, বলে যান বাসায়। কিন্তু, পথিমধ্যে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। হাতিরঝিল-সংলগ্ন রামপুরা ব্রিজের কাছে ইসরাক নিয়ন্ত্রণ হারান মোটরসাইকেলের। ছিটকে পড়েন। গুরুতর আহত হন। পরে পথচারীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত সোয়া একটার দিকে এমন ঘটনার তথ্য এনটিভি অনলাইনকে আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন এ দুর্ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান।

রাত দুটোর দিকে দুজন পথচারী ইশরাককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তাদের একজন হলেন মিজানুর রহমান। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মো. ইসরাক হোসেন যোশী যখন রক্তাক্ত হন, তখন সেখানে অনেক লোকজন জড়ো হয়। কিন্তু, তাঁর শরীরে কেউ হাত দিতে চাচ্ছিলেন না। অথচ, অনেকেই ছবি তুলছিলেন। ভিডিও করছিলেন। পরে আমরা তাকে ঢামেক নিই। তখন চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’

দুজন পথচারীর আরেকজন মো. খাব্বাব। তিনি বলেন, ‘আহত ইশরাকের পাশে অনেক লোকজন জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু, সবাই দ্বিধায় ছিলেন। মানুষ ছবি তুললে বা ভিডিও করলেও হাসপাতালে নিতে চাচ্ছিলেন না। কিন্তু আমরা ভাবলাম, যদি লোকটাকে কোনোভাবে বাঁচাতে পারি, সেজন্য ঢামেক নেওয়া। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো যায়নি।’

পরিবারের বরাত দিয়ে এসআই সাইদুর রহমান জানান, ইসরাক হোসেন যোশীর বাসা রাজধানীর ওয়ারী এলাকায়। তিনি বাবার কেমিক্যালের ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। বাসায় বসে এসেছিলেন বন্ধুর বাসায় যাওয়ার কথা। মুঠোফোনও ভুলে রেখে এসেছিলেন। ওই ফোনে ফোন করা হলে বাড়ির লোকজন জানতে পারেন, ইশরাক দুর্ঘটনার শিকার হন।