সড়ক পথে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা
নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কে জেলার পূর্বধলার বোর্ডবাজার এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিছু লোকের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে পূর্বধলার বারহা গ্রামের মো. মতিয়র রহমান বাদী হয়ে মো. হারুন অর রশিদ, জজ মিয়া, আশিকুর রহমান আশিক, স্বপন মিয়াসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে গত ৩০ মার্চ বিজ্ঞ আমলি আদালতে মামলা করেছেন।
মামলার বাদী মো. মতিয়র রহমান আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
বিজ্ঞ বিচারক বিষয়টি তদন্ত করে মামলা গ্রহণের জন্য পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা জেলার পূর্বধলার বারহা বোর্ডবাজার এলাকায় শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কে চলাচলরত সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ট্রাক থেকে দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে যাচ্ছেন। মামলার বাদী মতিয়র রহমানসহ কয়েকজন এর প্রতিবাদ করায় এ সড়কে অটোরিকশা চালাতে নিষেধ করেন হারুন অর রশিদসহ অন্যরা। অটোরিকশা চালালে পেট্রল দিয়ে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন ওই অভিযুক্ত চাঁদাবাজরা। এরই জের ধরে গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় রামদা, হকিস্টিক, লোহার রড, পেট্রল নিয়ে স্থানীয় শ্রমিক অফিসে প্রবেশ করে। পরে জারিয়া রোডে অটোরিকশা ও শ্রমিক অফিস চালাতে গেলে দুই লাখ টাকা করে চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দেয়। এর প্রতিবাদ করায় আবদুল খালেক ও এমদাদুলকে পিটিয়ে আহত করে তারা। হামলাকারীরা অফিসে থাকা ৩০টি চেয়ার, দুটি টেবিল, পাঁচটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে এবং ৩০টি প্লাস্টিকের চেয়ার নিয়ে যায়। এ ছাড়া শ্রমিক অফিসে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি মাটিতে ফেলে ভাঙচুর করে। পরে তারা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে একটি অটোরিকশায় পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং মো. লিংকন মিয়া ও টিটু মিয়াকে কিল ঘুষি দিয়ে আহত করে। আহতদের পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পক্ষের আশিকুর রহমান আশিক বলেন, ‘আমাদের নামে মামলা হয়েছে শুনেছি। তবে অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা কোনো চাঁদাবাজি করি না। কাউকে মারধরও করিনি।’
পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা পওয়া গেছে। থানায় মামলা করা হবে।