হিলি সীমান্তে দুই দেশের ভাষাপ্রেমীদের মিলনমেলা

Looks like you've blocked notifications!
হিলি সীমান্তের অস্থায়ী শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বালুরঘাটের উজ্জীবন সোসাইটির নেতৃবৃন্দ। ছবি : এনটিভি

দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের শূন্য আঙিনায় বসেছিল দুই দেশের বাংলাভাষা প্রেমীদের মিলনমেলা। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উযাপনের জন্য এই আয়োজন করা হয়।

হিলি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত ও ভারতের বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটি এ মিলনমেলার আয়োজন করে। বেলা সাড়ে ১০টায় ভারত থেকে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন সেদেশের বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটি সম্পাদক সূরজ দাশের নেতৃত্বে বালুরঘাট, মালদা ও কলকাতা থেকে আগত ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় তারা চেকপোস্ট সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। কিছুক্ষণ পর দুই দেশের শিল্পীরা কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য ও গান পরিবেশন করেন।

ভারতের পক্ষে নৃত্য পরিবেশন করেন বালুরঘাট রেইনবো সোসাইটির কর্ণধার শুভঙ্কর রায় ও সদস্য অনন্যা পাহান।

অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ, পৌরসভা, স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন, সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার লিয়াকত আলীর সভাপত্বিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহীন, সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত পত্রিকার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ও ভারতের বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটির সম্পাদক সরজ দাশ।

বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটির সম্পাদক সূরজ দাশ বলেন, ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে হিলি শূন্যরেখায় দুই দেশ মিলে আয়োজন হলো মিলনমেলা। এখনও অনেক মানুষ মুখোশ পরে আছে। আমাদের আরও সোচ্চার হতে হবে। আমরা চাই কাঁটাতারের বেডায় শরীরের বিভেদ সৃষ্টি করলেও ভাষার বিভেদ সৃষ্টি করতে পারেনি।

আয়োজক ও সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত পত্রিকার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পানি, বাতাস ও পাখিকে যেমন আটকানো যায় না, তেমনি মায়ের মুখের ভাষাকেও সীমান্তে দেয়াল তৈরি করে শান্তির বার্তাকে আটকাতে পারবে না। ভাষা এক, সংস্কৃতি এক। আমরা এ আওয়াজ সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। তাই প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আয়োজন করেছি।’

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার লিয়াকত আলী বলেন, সকালে অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এরপর ছোট পরিসরে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, ছড়া, গল্প অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শেষ হয়।