১০ ডিসেম্বরের পর খালেদা জিয়ার কথায় বিএনপি চলে কিনা সন্দেহ : চিফ হুইপ

Looks like you've blocked notifications!
আজ শনিবার দুপুরে মাদারীপুরের শিবচরে একটি আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। ছবি : এনটিভি

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেছেন, ১০ ডিসেম্বরের পর খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার কথায় বিএনপি চলে কি না সেটিই সন্দেহ। বিএনপির নেতারা বলছে, ১০ ডিসেম্বরের পর নাকি সারা দেশ খালেদা জিয়ার কথায় চলবে। এ ধরনের কথা বলে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে বিএনপি।

আজ শনিবার দুপুরে জেলার শিবচর রিজিয়া বেগম মহিলা কলেজের বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধা কর্নার উদ্বোধন শেষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন তিনি। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী এরপর তিনি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের টিন ও নগদ অর্থ বিতরণসহ কয়েকটি বিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধন করেন।

নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর নাকি খালেদা জিয়ার কথায় বাংলাদেশ চলবে। আমরা কয়েকটা দিন অপেক্ষা করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় যিনি জেলের পরিবর্তে বাসায় আছেন। তাঁর কথায় নাকি প্রশাসনসহ সব চলবে। এ ধরনের কথা বলে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে বিএনপি। ১০ তারিখের পরে সরকার চলবেতো দূরের কথা ওনার কথায় বিএনপি চলবে কিনা সেটাই সন্দেহ হচ্ছে। বিএনপি ১০ তারিখের পরে ছেলের কথায় নাকি মায়ের কথায় চলবে, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’

জাতীয় পার্টির টানাপোড়েন নিয়ে চিফ হুইপ বলেন, ‘আগামীকাল সংসদ বসবে। জাতীয় পার্টিতে ভাবি দেবরের গণ্ডগোল চলছে। এক চেয়ার নিয়ে গণ্ডগোল শুরু করছে। ওই চেয়ারে কাল ভাবি বসবে না দেবর বসবে? এটা হলো ১৯৮৬ সালে যে পাপ করছিল, ১৯৮৮ সালে যে অন্যায় করছিল, ট্রাকচাপা দিয়ে ছাত্র মেরেছিল তার ফল এখন পাচ্ছে। পাপ কখনো বাপরে ছাড়ে না। এরশাদ সাহেবের পাপ তার দলের মধ্যে এসে গেছে। এমন অবস্থায় গেছে এতদিন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে থেকে একটা জায়গা ছিল, বিরোধী দলে ছিল। এবার এমন অবস্থা শুরু করছে এরশাদের ভাই শেষ পেরেকটা মেরে দিচ্ছে। আগামী নির্বাচনে হ্যারিকেন দিয়ে জাতীয় পার্টিকে খুঁজতে হবে। আওয়ামী লীগের দয়ায় কিছু আসনে সংসদে আসার সুযোগ হয়েছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় পার্টির কোন নেতা এমপি হবে। কোন আসনে হবে, বলুনতো।’

এ সময় মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আব্দুল লতিফ মোল্লা, পৌর মেয়র মো. আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিবুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাজাহান মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।