১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সীতাকুণ্ডে তুলার গোডাউনের আগুন

Looks like you've blocked notifications!
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের আপ্রাণ চেষ্টা। ছবি : এনটিভি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তুলার গোডাউনের আগুন ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের হিঙ্গিরি পাড়া এলাকায় শনিবার (১১ মার্চ) সকালে নেলসন কন্টেইনার ডিপোর পাশে ইউনিটেক্স স্পিনিং মিলের তুলার গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

প্রাথমিকভাবে গুদামের সংস্কার কাজের ওয়েল্ডিং থেকে আগুন ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে পানি সংকটে আগুন নেভানো কঠিন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

গত পাঁচদিন ধরেই এই গুদামে সংস্কার কাজ চলছিল। শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে হুট করেই গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো গুদামে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, সংস্কার কাজের ওয়েল্ডিংয়ের ফুলকি থেকে এই আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস উপসহকারী পরিচালক আবদুল হালিম বলেন, খবর পেয়ে প্রথমে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের স্থানীয় দুটি ইউনিট। পরে চট্টগ্রাম শহর থেকে যোগ দেয় আরও ৮টি ইউনিট। শুরুতে ঘটনাস্থলের আশেপাশে পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে দমকলকর্মীরা। পরে অনেক দূর থেকে পানি সংগ্রহ করে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। তুলার লাগা আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে তাঁদের।

তবে প্রাথমিকভাবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারিনি ফায়ার সার্ভিস।

ইউনিটেক্স স্পিনিংয়ের পরিচালক ফারহান আহমেদ বলেন, গুদামটিতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সুতার কাঁচামাল ছিল; যা বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছিল। গুদামে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল। ওয়েল্ডিংয়ের সময় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করাও হয়েছিল। এরপরও কীভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়লো সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।

প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ ও আগুনে এখনও পর্যন্ত ৭ জন নিহত হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৪ জুন একই এলাকায় বিএম ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণে মারা গেছে ৫১ জন।