১৪ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. রাসেলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাতে ধোলাইখাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার ১৪ বছর পর ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফজলুল হক জানান, ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার নলুয়া গ্রামের রুহুল আমিনকে স্থানীয় ল্যাংড়ার দোকানের পাশে একই গ্রামের কয়েকজন পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় স্ত্রী মিনারা আক্তার বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে কবিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলায় কবিরহাট থানা-পুলিশ তদন্ত শেষে অভিযুক্ত পাঁচ আসামির বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে রুহুল আমিনকে হত্যার ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন সাজা দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আবুল হাসেম, তার ছেলে নূরনবী, আব্দুল হক, তার ছেলে মো. রাসেল ও আবদুর রহিম। দণ্ডপ্রাপ্ত আবুল হাসেম ছাড়া বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি দল রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেলকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানায়, মামলায় যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণার পর সে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের নাম পরিবর্তনে আত্মগোপন করে আসছিল। প্রথমে সে ঢাকায় ট্রাকের হেলপার এবং পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মিনি ট্রাক ড্রাইভার হিসেবে আত্মগোপনে ছিল। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।