১৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী উৎসবে হাজারও মানুষের ঢল

Looks like you've blocked notifications!
সিলেটের দরবস্ত ইউনিয়নের করগ্রাম চাল্লাইন গ্রামের হরুজুরী বিলে পলো বাওয়া উৎসব। ছবি : ইউএনবিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে নেওয়া

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পলো বাওয়া উৎসব। প্রতি শীত মৌসুমে একবার উৎসবটি পালন করেন বিল পাড়ের মানুষ। সিলেটের কিছু এলাকায় শীত মৌসুমে উৎসবটি উদযাপন করা হয়। এবার হরুজরী বিলে হয়ে গেল ১৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব। যেখানে হাজারও মানুষের ঢল নামে গত শনিবার।

আগেকার দিনে হাওর ও বিল পাড়ের লোকজন উৎসবটি পালন করতেন। তবে, কালের পরিক্রমায় এখন পলো বাওয়া উৎসব কমে গেছে। তারপরও বেশ কিছু অঞ্চলে এখনও আয়োজন করা হয় এই উৎসবের। আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয় দিনক্ষণ। খবর জানার পর লোকজন পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে বাজার থেকে নতুন পলো ক্রয় করে।

উৎসবের দিন সকালে নিজ নিজ পলো, হাতাজাল, উড়ালজাল ও লাঠিজালসহ মাছ ধরার জন্য দরবস্ত ইউনিয়নের হরুজরী বিলের পাড়ে জমায়েত হয় মানুষ।

ঘড়ির কাটায় নির্ধারিত সময় বেজে ওঠলেই সবাই মিলে এক সঙ্গে পলো নিয়ে পানিতে ঝাপিয়ে পড়েন হরুজুরী বিলে।

প্রতি বছর মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহে গ্রামের লোকজন তাদের বিলে উৎসবটি পালন করে থাকে। নির্ধারিত তারিখে উৎসবটি পালন করতে অনেক প্রবাসীরা দেশের বাড়িতে চলে আসে। এবছরও ব্যতিক্রম হয়নি।

সিলেটের দরবস্ত ইউনিয়নের করগ্রাম চাল্লাইন গ্রামের হরুজুরী বিলে পলো বাওয়া উৎসব। ছবি : ইউএনবিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে নেওয়া

প্রতি বছরের মতো শনিবার সকাল ৮টায় লোকজন পলোসহ মাছ ধরার বিভিন্ন যন্ত্র নিয়ে বিলের পাড়ে সমবেত হয় দরবস্ত ইউনিয়নের করগ্রাম চাল্লাইন গ্রামের হরুজুরী বিলে। সকাল ১০টায় এক সঙ্গে গ্রামের কয়েক হাজার লোক পলো নিয়ে বিলের পানিতে ঝাপিয়ে পড়ে।

হরুজুরী বিলের পাড়ে উৎসব উপভোগ করতে আসা গ্রামের আমিনুর রহমান (৭৫), মোশাহিদ আলী (৪৫), হোসেন আলী (৩৫), মোস্তফা মিয়া (৩৫) কাবির আহমদ (৪৫), জয়নাল আবেদীন (৫৫) বলেন, তাদের পূর্বপুরুষরা প্রায় দেড়শত বছর ধরে এই উৎসবটি পালন করছে। গত তিন বছর করোনা মহামারিতে তারা এই উৎসব পালন করেনি৷ এ বছর পুনরায় পূর্বের ধারাবাহিকতা রক্ষায় উৎসব পালন করলেন৷

এ ছাড়া গ্রামের অনেকেই রুই, রাঙ্গা কারপু, বোয়াল, শোলমাছ ও মাগুর মাছ সহ নারা রকমের মাছ ধরেছেন।