২০২২ সালের জুনে পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে : রেলমন্ত্রী
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/09/07/rail-minister.jpg)
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘নির্দিষ্ট সময়েই বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ রেলের কাজ সম্পন্ন হবে। পদ্মা সেতু আগামী বছরের (২০২২) জুনে খুলে দেওয়া হবে।’
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘ওই সময় রেল মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত পদ্মা সেতু পারাপার হবে। যদি কোনো কারণে আমরা একই দিনে রেল উদ্বোধন করতে না পারি। তাহলে আমরা দ্বিতীয় চিন্তা রেখেছি। সেটা হলো ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এ পুরোটাই রেল অপারেট করবে আগামী ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর।’
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে রেল লিংকের ভায়াডেক্ট-টুতে রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময়ে মন্ত্রী ট্রলি ট্রেন দিয়ে রেলের দেড়-কিলোমিটার এলাকা ঘুরে দেখেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিজি ও পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. আফজাল হোসেন, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, মেজর জেনারেল জাহিদুল, পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল আউয়াল, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে সড়ক নির্মাণ, বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য মার্চের আগে রেলপথের কাজ শুরুর অনুমতি দিতে চাচ্ছে না সেতু কর্তৃপক্ষ। আর রেলপথের কাজ শেষ করতে সময় লাগবে ছয় মাস। ফলে জুনের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। তাই সেতুর সড়ক ও রেলপথ একসঙ্গে উদ্বোধন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি, সেতু কর্তৃপক্ষকে রাজি করাতে। যেন দুটি কাজ একসঙ্গেই করা যায়।’
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/09/07/rail-mini-2.jpg)
‘দুটি প্রকল্প একসঙ্গে কাজ শেষ করতে না পারলে রেললাইনের কাজ করতে সমস্যা হবে। কেননা সেতুতে যান চলাচল শুরু করলে যে ভাইব্রেশন বা কম্পন হবে তাতে রেলপথের ঢালাইয়ের জটিলতা হবে।’ যোগ করেন রেলমন্ত্রী।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনক্ষণ পেছানো হবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘রেলপথের জন্য মূল সেতুর উদ্বোধন পেছাক সেটা চাই না। তবে একসঙ্গে কাজ শেষ করতে না পারলে, রেলপথ নির্মাণে সমস্যা হবে।’
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রেলের সার্বিক অগ্রগতি হলো ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৭১ শতাংশ, আর ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত অগ্রগতি ৪০ শতাংশ। এরই মধ্যে রেলের সবকটি পিয়ার উঠেছে। সব গার্ডার উঠে গেছে। ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে। এই পথে ২০টি স্টেশন থাকবে, যার মধ্যে ১৪টি নতুন এবং ছয়টি বিদ্যমান।’