২০৪১ সালে সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ : নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর দৃশ্যমান হয়ে গেছে। ২০২৬ সালে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে। ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ; এখনকার স্মার্ট দেশ সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে।’
আজ রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এসময় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, মাতারবাড়ী বন্দর প্রকল্পের প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মো. ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আগামী জুলাই নাগাদ মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের জেটি ও কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এখানে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে। অর্থ ও সময় বাঁচবে। অর্থনীতিতে সুপ্রভাব ফেলবে।’
মাতারবাড়ী বন্দর বাণিজ্যিক হাব হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির লাইফ লাইন। মাতারবাড়ী বন্দরও প্যারালাল অর্থনীতির লাইফ লাইন হবে। বাংলাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশে সক্ষমতা তৈরি হয়ে গেছে। গত এক মাসে পশ্চিমা দেশের ভিআইপি পারসনরা দেশে এসেছে। তারা দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা জেনে গেছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রথম এবং একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটি অনুমোদনের পরে বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ড্রইং ডিজাইনের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও এপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পার্শ্বে দুই হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পার্শ্বে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি ও ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ এবং কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ সব বন্দর সুবিধা নির্মাণের জন্য তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।’