২৩ জুলাই পর্যন্ত সামুদ্রে মাছ ধরা নিষেধ

Looks like you've blocked notifications!
তীরে বাঁধা সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার। ফাইল ছবি 

মাছের প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আজ বুধবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ এর ধারা-৩ এর উপধারা-২ এর ক্ষমতাবলে গত ১৩ এপ্রিল এ নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এ বছর মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নিয়ে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো: তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, নৌপুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. আতিকুল ইসলাম, সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক, বন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি ও বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা সভায় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়নে তাদের স্ব স্ব জেলার পূর্বপ্রস্তুতি তুলে ধরেন।

এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে এ বছর দেশের উপকূলীয় ১৪টি জেলার ৬৬টি উপজেলায় দুই লাখ ৯৮ হাজার ৫৯৫টি জেলে পরিবারকে ১৬ হাজার ৭২১.৩২ মেট্রিক টন ভিজিএফ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সমুদ্রে কোনো প্রকার নৌযান দিয়ে অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ নৌপুলিশ ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতা চেয়ে জননিরাপত্তা বিভাগ ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চিঠি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত সচেতনাতামূলক বিশেষ বার্তা টিভি স্ক্রলে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মৎস্য অধিদপ্তর কন্ট্রোল রুম চালু করেছে এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে তিনটি বিভাগীয় মনিটরিং টিম গঠন করেছে।

স্থানীয়ভাবে ব্যানার, লিফলেট, পোস্টার, মাইকিং ও সচেতনতামূলক সভা করে জেলেদের মাঝে প্রচার কার্যক্রম চালানো হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মৎস্যজীবী সমিতি ও সংগঠনকে এ কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।