অব্যাহত চা শ্রমিকদের ধর্মঘট

‘৩০০ টাকা মজুরি দে, নইলে বুকে গুলি দে’

Looks like you've blocked notifications!
সিলেটের মালনীছড়া চা বাগানে শ্রমিকরা ভুখা মিছিল শেষে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ছবি : এনটিভি

টানা ধর্মঘটের অষ্টম দিন গতকাল ২৫ টাকা বাড়িয়ে চা শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এতে ধর্মঘট থেকে সরে দাঁড়ান অনেকে। কিন্তু, আগের দাবিতে আজ নবম দিনেও ধর্মঘট, সমাবেশ ও ‘ভুখা মিছিল’ করেছেন সাধারণ চা শ্রমিকরা। এদেরই একজনের পিঠে দেখা যায় লেখা—‘৩০০ টাকা মজুরি দে, নইলে বুকে গুলি দে।’

চা শ্রমিকরা বলছেন, ২৫ টাকা বাড়িয়ে সরকারের এই মজুরি বৃদ্ধি তাঁদের সঙ্গে প্রহসনের সামিল। তাঁরা প্রশাসনকে একদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

আজ সকালে মালনীছড়া চা বাগানে শ্রমিকরা সমবেত হয়ে মিছিল বের করেন। মিছিলটি সিলেট এয়ারপোর্ট সড়ক প্রদক্ষিণ করে লাক্কাতুড়া চা বাগানের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানেই চা শ্রমিকরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

নমনীয়তার পরও সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের সাধারণ চা শ্রমিকরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যেতে অনড় বলে জানান আন্দোলনরতরা। সরকারপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাঁরা শ্রমিকদের বাস্তব অবস্থা উপলব্ধি করে দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।

এর আগে টানা কর্মবিরতির অষ্টম দিনের শেষে শ্রীমঙ্গলে শ্রম অধিদপ্তরে বৈঠকের পর কর্মবিরতি স্থগিতের কথা জানান নেতারা। ওই বৈঠকে ১৪৫ টাকা দৈনিক মজুরি এবং প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনার আশ্বাসের কথা বলা হয়। এসময় চা শ্রমিকদের নেতারা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। কিন্তু, সাধারণ শ্রমিকরা তা প্রত্যাখান করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর শনিবার রাতেই নিজেদের বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে একাত্মতা জানান চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

আজ রোববার সিলেট এয়ারপোর্ট সড়ক ৪৫ মিনিট অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকরা। পরে অবরোধ তুলে নিলেও কর্মবিরতি চলবে বলে জানান তাঁরা। একইসঙ্গে প্রশাসনকে একদিনের আল্টিমেটাম দেন। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনে নামবেন বলে জানান চা শ্রমিকরা।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের একজন বলেন, ‘আমাদের মজুরি বাড়াতে হবে, না হলে আমাদের আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনে যাব আমরা।’

অপর এক নারী শ্রমিক বলেন, ‘প্রশাসনের সঙ্গে আমরা আর বসতে রাজি না। ৩০০ টাকা মজুরি করতে হবে। এটাই আমাদের একমাত্র দাবি।’

এ বিষয়ে চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।