৩৫ হাজার গ্রাহকের ১০৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মধুমতি গ্রুপের থেকে আমানত ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্তরা। ছবি : এনটিভি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘মধুমতি গ্রুপ’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) গ্রাহকের ১০৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলার ৪৬ শাখার মাধ্যমে ৩৫ হাজার গ্রাহকের এই অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। আজ শনিবার (১ এপ্রিল) চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সাংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের একাংশ।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক জেলার সদর উপজেলার দেবীনগরের নাসিমুদ্দীন। এ সময় ভুক্তভোগীদের মধ্যে বক্তব্য দেন বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের তাজকেরা খাতুন, রোকেয়া বেগম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার রামকৃষ্ণপুর এলাকার দেলশাদ আলী, নামোশংকরবাটি ঝাপাইপাড়ার মহাজনী বেগম, চরবাসুদেবপুরের রমেশ চন্দ্র দাস।

সাংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, স্থানীয় সমাজসেবা ও সমবায় অফিসের নিবন্ধন নিয়ে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে ও বিভিন্ন কৌশলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয় এনজিওটি। ৩৫ হাজার গ্রাহকের কাছ মোট ১০৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর মধুমতি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ রানা ইচ্ছেকৃতভাবে অস্ত্রসহ আটক হয়ে কারাগারে যান। এ ঘটনার পর থেকে এনজিওটির অন্যান্য পরিচালকরা আত্মগোপনে রয়েছেন।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনার পর মানববন্ধন কর্মসূচিসহ প্রশাসনের কাছে ধর্না দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। আদালতের আশ্রয় নেওয়া হলেও এনজিওর প্রভাবশালীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। উচ্চ আদালত থেকে তাদের নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে বলা হলেও তারা তা মানছেন না।

বিষয়টি নিয়ে মধুমতি গ্রুপের আত্মগোপনে থাকা বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদা খাতুনসহ অন্যান্য পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।