৫ বছর পর আবার প্রেমের টানে বাংলাদেশে বিদেশি তরুণী

Looks like you've blocked notifications!
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় প্রেমের টানে টানা ৫ বছর পর দ্বিতীয় বার ছুটে আসা ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উলফিয়া ও মো. ইমরান। ছবি : এনটিভি

টানা পাঁচ বছর অপেক্ষার পর প্রেমের টানে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উলফিয়া। গত সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত মধ্যরাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উলফিয়া এর আগে ২০১৭ সালেও প্রেমের টানে ছুটে এসেছিলেন। তখন প্রেমিক মো. ইমরানের বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়ায় বিয়ে হয়নি তাঁদের। ফলে নিজ দেশে ফিরে যেতে হয় ওই ইন্দোনেশিয়ান তরুণীকে।

প্রেমিক মো. ইমরান পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের মো. দোলোয়ার হোসেনের ছেলে। আর  নিকি উলফিয়া ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশের জেম্বার এলাকার বাসিন্দা ইউলিয়ানতোর মেয়ে।

খাজুরবাড়িয়া গ্রামে ইমরানের বাড়িতে চলছে বিয়ের উৎসব। ইতোমধ্যে দাওয়াতপত্র বিতরণ করা হয়েছে। দাওয়াতপত্র অনুযায়ী আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) তাঁদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। 

ইমরানের বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ও (নিকি উলফিয়া) চলে যাওয়ার পর আমার ছেলে ও আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছে। আমাদের সঙ্গে ওর মা-বাবারও হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে নিয়মিত কথা হতো। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই বিয়ের দিন ঠিক করে আত্মীয়স্বজনদের দাওয়াত দিয়েছি।’

মুঠোফোনে ইমরান বলেন, ২০১৬ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইন্দোনেশিয়ান মুসলিম পরিবারের মেয়ে নিকির সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর বন্ধুত্ব, একপর্যায়ে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে আমরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই।’

ইমরানের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি না থাকায় ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান নিকি উলফিয়া। সেখান থেকে ইমরান তাঁকে বাউফলের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিন্তু ইমরানের বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়ায় ওই সময় ফিরে যেতে হয় নিকি উলফিয়াকে।

ইমরান জানান, নিকি প্রথমবার যখন আসে তখন তাঁর বয়সের বাঁধায় বিয়ে করতে পারেননি। তাই নিকি তাঁর দেশে ফিরে যান। তবে কথা দিয়েছিলেন অপেক্ষা করবেন। তিনি তাঁর কথা রেখেছেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ফিরে এসেছেন। এখন তাঁরও আইনানুযায়ী বিয়ের উপযুক্ত বয়স হয়েছে। তাঁরা উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে আইনানুযায়ী বিয়ে করবেন।

ইমরানের মা বীথি আক্তার বলেন, ‘আমি পুত্রবধূকে ছেলের বউই নয় নিজের মেয়ে হিসেবে দেখতে চাই। সুখ আর সমৃদ্ধিতে ভরা থাক ওদের জীবন, এ প্রত্যাশা আমার।’

এদিকে, ইমরানের সঙ্গে বিদেশি তরুণীর দীর্ঘ সময় প্রেম, অতঃপর বিয়ের আয়োজন—এতে খুশিতে মাতোয়ারা তাঁর গ্রামের উৎসুক মানুষ। শুধু খাজুরাড়িয়া গ্রামই নয়, পুরো বাউফল উপজেলা এ খবরে উদ্বেলিত।