৫ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, দগ্ধসহ আহত ১৫

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রতিপক্ষের পাঁচটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে গবাদি পশুসহ আসবাবপত্র ও সম্পদ লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অগ্নিদগ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের দুর্গম চিলমারীরচর বাজার সংলগ্ন উত্তরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটানো হয়।

অগ্নিদগ্ধসহ আহত আটজনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি  করা হয়েছে এবং বাকিরা দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী স্কুল শিক্ষক ইকবাল হোসেন ও স্থানীয়রা জানায়, দৌলতপুর উপজেলার চিলমারীরচরের শিকদার ও মণ্ডল বংশের মধ্যে দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের সূত্র ধরে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ, হামলা ও মামলা করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েনও করা হয়। ওই বিরোধের জেরে আজ বিকেলে শিকদার বংশের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মণ্ডল বংশের লোকজনের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় তারা বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক লুটপাট করে। হামলায় ও অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। তাঁদের মধ্যে সাগর মেণ্ডল (২৫), দিনা মণ্ডল (৭০), ফারুক মণ্ডল (২২), নাসির (১৮), আনিসুর রহমান (৪০), নুরী (৭০), ফজল মণ্ডল (৫২), আশরাফুলকে (৩৫) উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অগ্নিকাণ্ডে ইকবাল মণ্ডল, মোজাম্মেল মণ্ডল, জহুরুল মণ্ডল, রানা মণ্ডলসহ পাঁচ জনের বাড়ি ভস্মীভূত হয়।

এ সময় হামলকারীরা ওই সব বাড়ি থেকে গরু, ছাগল, ঘরের আসবাবপত্র ও সম্পদ লুট করে নিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।

হামলা ও অগ্নি সংযোগের খবর পেয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।

এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

হামলার ঘটনার বিষয়ে চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান, চলমান বিরোধের জেরে শিকদার বংশের লোকজনের হামলা, মারপিট ও অগ্নিসংযোগে দগ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা পাঁচ-ছয়টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার ওসি বলেন, ‘আমি ও সার্কেল স্যার ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দোষীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’