৬৫০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করেছি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের সরকার রেলযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। গত ১৪ বছরে আমরা দেশে ৬৫০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পাবনার রূপপুর, গাজীপুরের জয়দেবপুর ও কুমিল্লার শশীদল থেকে তিনটি রেলপথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
এ সময় টঙ্গী-জয়দেবপুর অংশে উপস্থিত ছিলেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। অনুষ্ঠানের অপর প্রান্তে কুমিল্লার শশীদল থেকে রাজাপুর, পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর এবং টঙ্গী ও জয়দেবপুর সেকশনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর অলাভজনক বলে রেল বন্ধের উদ্যোগ নেয় শাসকরা। তারা রেলের লোকবলও ছাঁটাই করেছিল। আমরা সারা দেশে রেল যোগাযোগ স্থাপনে কাজ করছি।
রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর রেলস্টেশনটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে মালপত্র ও যন্ত্রপাতি আনার সুবিধার্থে নির্মাণ করা হয়েছে। স্টেশনটি চালু করতে ৩৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় ২৬ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত লাইনটিতে ট্রেন চলাচল প্রায় ৩৫ বছর ধরে বন্ধ ছিল।’
এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথকে ডাবল লাইনে উন্নীত করতে আখাউড়া-লাকসাম সেকশনে ৭২ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন করা হচ্ছে। ৬ হাজার ৫০৪ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ ৯ বছরেও শেষ হয়নি। এই রুটের কসবা থেকে মন্দবাগ ও শশীদল থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।’
এর আগে এই লাইনের লাকসাম থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার ডাবল লাইন গত বছরের সেপ্টেম্বরে ট্রেন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। বাকি ৩৪ কিলোমিটারের কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ করার কথা থাকলেও প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ নির্মাণকাজ চলছে। এ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হচ্ছে টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত দ্বিতীয় ডুয়েলগেজ রেললাইন। ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ টঙ্গী-জয়দেবপুর অংশে নির্মিত দ্বিতীয় লাইনে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। ভারতীয় ঋণে ১ হাজার ১০৬ কোটি টাকার এই প্রকল্পের সব কাজ শেষ হতে আরও বছরখানেক সময় লাগবে। টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে দ্বিতীয় লাইন চালু হওয়ায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় সাশ্রয় হবে।