৯৯৯-এ ফোন, ‘তিন খুন করেছি, আরও দুজনকে করে ফেলতে পারি’
‘আমি আমার বাবা-মা এবং বোনকে খুন করছি। আরও দুজন অসুস্থ আছে। তাদেরকেও খুন করতে পারি। আমাকেও খুন করে ফেলতে পারি। আপনারা আসেন। আমাকে ধরেন।’
এভাবেই আজ শনিবার সকালে কদমতলীর মুরাদপুর এলাকার মেহেজাহিনের কাছ থেকে ফোন পায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কদমতলী থানার পুলিশ। তারপর বাসার ঠিকানা দিয়ে দ্রুত লাইন কেটে দেন তিনি।
পরে পুলিশ সেই ঠিকানায় গিয়ে সকালে মাসুদ রানা (৫০), তাঁর স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (৪৫) এবং তাঁদের মেয়ে জান্নাতুলের (২০) হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় আটক করা হয়েছে মাসুদ রানার আরেক মেয়ে মেহেজাবিনকে।
ঘটনাস্থল থেকে মেহেজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও তাদের পাঁচ বছরের মেয়ে মার্জান তাবাসসুমকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সন্ধ্যায় এনটিভি অনলাইনকে এসব তথ্য জানান ঘটনাস্থলে থাকা কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করেন মেহেজাবিন।
কেন এই হত্যাকাণ্ড, মেহেজাবিন কী জানিয়েছেন- এমন প্রশ্নে এসআই আবুল কালাম বলেন, ‘প্রথমে তো শুনেছিলাম পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। পরে মেহজাবিন জানান, জমিজমা ও টাকা-পয়সার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। তবে এটাই শেষ কথা নয়, এখন অনেক ধরনের কথা আসামি বলতে পারেন। আমরা সবকিছু সতর্ক থেকে শুনছি।’
‘মেহেজাবিনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার তদন্তে গিয়ে আমরা এখনও পর্যন্ত জেনেছি, তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে শ্বাসরোধ করে। এর আগে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়েছিলেন মেহেজাবিন। প্রত্যেকের গলায় দাগ রয়েছে। আমাদের ধারণা, গলায় কিছু পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে’, যোগ করেন এসআই।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও জানিয়েছে, কেন মেহেজাবিন তিন খুনের ঘটনা ঘটিয়েছেন তা অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে।