ধর্ষণ, রাঙ্গুনিয়ার শাহ আলম রিমান্ডে
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার শাহ আলমের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কুদরত এ এলাহীর আদালতে তাঁকে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট এরশাদুর রহমান লিটু সাংবাদিদের জানান, শাহ আলমের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে আদালতে উপস্থাপনের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত সোমবার আদালতে শাহ আলমের (৫৫)বিরুদ্ধে ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা নুরুন নাহার। ট্রাইবুনাল অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার রাতে জেলা পুলিশ নগরীর আন্দরকিল্লা থেকে শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে একটি ইংরেজি দৈনিকে রাঙ্গুনিয়ায় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে আপন ভাইকে দোষী করার ঘটনা প্রকাশিত হলে একই দিন একটি রিট দায়ের করা হয় হাইকোর্টে। দ্বৈত বিচারকের বেঞ্চ অভিযুক্ত শাহ আলমকে ১৫ জুনের মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় শিশু ধর্ষণের আলামত নষ্ট করা এবং তার অপ্রাপ্তবয়স্ক ভাইকে জোর করে মামলার আসামি করার অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওই কিশোরীর মায়ের করা একটি মামলা আজ খারিজ করে দিয়েছেন চট্টগ্রামের এক আদালত।
দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মীর শফিকুল আলম এ আদেশ দেন। গতকাল বুধবার রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির ও এসআই মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন নির্যাতিত শিশুটির মা।
রাঙ্গুনিয়ার মিনাগাজীর টিলা এলাকার আসামি শাহ আলমের প্রতিবেশী এক শিশুকে কয়েকবার ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গর্ভপাত করাতে হয়। পুলিশ প্রভাবশালীদের চাপে সন্দেহভাজন শাহ আলমের নামের পরিবর্তে শিশুটির আপন ভাইকে অভিযুক্ত করে জেলে পাঠায়।