ইসি গঠনে ‘স্থায়ী ব্যবস্থা’ চায় জেএসডি

Looks like you've blocked notifications!
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে আজ শনিবার বিকেলে বঙ্গভবনে নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নেন জেএসডির (রব) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল। ছবি : ফোকাস বাংলা

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি-রব)।

আজ শনিবার বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে  নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে এই প্রস্তাব দিয়েছেন জেএসডির (রব) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

বিকেলে আলোচনায় অংশ নিতে বঙ্গভবনে যায় আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় রাষ্ট্রপতি তাঁদের বঙ্গভবনে স্বাগত জানান। আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানোয় রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান দলটির নেতারা।

সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, জেএসডির (রব) প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সংলাপ, অবাধ রাজনৈতিক অধিকার এবং জনগণের সঠিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অপরিহার্য। নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির আলোচনার যে উদ্যোগ তা অবসানের জন্য তাঁরা নির্বাচন কমিশন গঠনে স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যও জরুরি।

আজকের প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এম এ গোফরান, সহসভাপতি তানিয়া ফেরদৌসী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম ফারুক, ম. নিরাজ মিয়া, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, দবির উদ্দিন জোয়ার্দার, আবদুর রহমান মাস্টার, এস এম আনছার উদ্দিন।

বৈঠক শেষে আবদুল মালেক রতন বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রধান হলেও আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এ ক্ষেত্রে সরকারই নিয়ামক ভূমিকা পালন করে। এ জন্য নির্বাচনকালীন এখানে একটি দলনিরপেক্ষ, নির্বাচিত ও জবাবদিহিতামূলক সরকারের বিধান করা অপরিহার্য।’

জাসদ নেতারা বলেছেন, তাঁরা দলের পক্ষ থেকে তিন দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। এর প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে : পার্লামেন্টের ‘উচ্চকক্ষ’ গঠন করে সেখান থেকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিধান করা; ‘উচ্চকক্ষ’সহ পার্লামেন্ট হবে ‘দ্বিকক্ষ’বিশিষ্ট। অঞ্চলভিত্তিক প্রতিনিধি নিয়ে পার্লামেন্টের ‘নিম্নকক্ষ’ হবে ৩০০ সদস্যবিশিষ্ট। ২০০ সদস্যবিশিষ্ট ‘উচ্চকক্ষে’ থাকবেন ‘অদলীয়’ভাবে নির্বাচিত বিভিন্ন শ্রম-কর্ম-পেশার প্রতিনিধি। ‘নিম্নকক্ষে’র নির্বাচনে বিভিন্ন দলের প্রাপ্ত আসনের আনুপাতিক প্রতিনিধি, প্রবাসীদের মধ্য থেকে অন্তত ১০ জন প্রতিনিধি, রাষ্ট্রপতি মনোনীত প্রতিনিধি, বিভিন্ন প্রাদেশিক পরিষদ (গঠনের পর) প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধি, নারী প্রতিনিধি ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার প্রতিনিধি।

নির্বাচনের আগে এ ‘উচ্চকক্ষ’ থেকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পর সে সরকারের পরামর্শ মোতাবেকই নির্বাচন কমিশন গঠনের বিধান করতে হবে। একইভাবে নির্বাচন কমিশনের গঠন কাঠামো এবং ক্ষমতাও নির্ধারিত হবে। বর্তমান পার্লামেন্টে সরকারি দল ও জোটের যে অবস্থান এতে সহজেই সংবিধান সংশোধন করে এ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা সম্ভব।