জামিনে মুক্তি পেলেন সাংবাদিক সাইফুল

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, সাইফুল পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছেন।
দৈনিক জনতা, অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউন ও সাপ্তাহিক পাতাকুঁড়ির দেশ পত্রিকার শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি সাইফুল ৩৮ দিন কারাভোগের পর আজ রোববার বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সফিকুল ইসলাম তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন। সাংবাদিক সাইফুলের আইনজীবী রাধাপদ দেব সজল এনটিভি অনলাইনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাইফুল ইসলামের স্ত্রী রুমি বেগম অভিযোগ করেন, গত ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গল শহরের ক্যাথলিক মিশন রোড এলাকা থেকে সাদা পোশাকে কয়েকজন তাঁর স্বামীকে শ্রীমঙ্গল থানায় নিয়ে যায়। এ সময় সাইফুলের কাছে থাকা টাকা, ল্যাপটপ ও তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পরে থানায় তাঁকে নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগ করেন রুমি।
পরদিন সাইফুলকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এ সময়ে তাঁকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের স্ত্রী নির্যাতন ও চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে গত ১৩ মে মৌলভীবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল, উপপরিদর্শক (এসআই) গিয়াস উদ্দিন, এসআই মো. জাকির হোসেন, এসআই মো. মাসুদ, ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. মাহফুজ ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. বাশার—এই ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। বিচারক মোহাম্মদ জুলফিকার আলী মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে আগামী ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ক্যাপ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম