হাইকোর্টে পুলিশ প্রতিবেদন

‘প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ নয়, শ্লীলতাহানি করা হয়েছে’

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : এনটিভি

কুমিল্লার বাঙ্গরা থানাধীন প্রতিবন্ধী ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়নি বরং তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। এই দাবি করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে ওই প্রতিবেদন দাখিল করেন।

দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঘটনায় এজাহারে নাম থাকা পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তা ছাড়া ভুক্তভোগীর জবানবন্দিতে এসেছে ধর্ষণ নয়, এখানে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আগামী রোববার প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে। এর আগে প্রতিবেদনটি দেওয়া যাবে না।

প্রতিবেদনে কী আছে জানতে চাইলে মোতাহার হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঘটনায় করা অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ। এজাহারে থাকা পাঁচ আসামির মধ্যে নজরুলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর জবানবন্দি ও অন্যদের বক্তব্যে বলা হয়, নারীকে ধর্ষণ নয়, শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। আর তাঁর ভাইকে মারধর করা হয়েছে।

গত ৯ জানুয়ারি কুমিল্লায় ওই প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত মো. নজরুলকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বিষয়ে করা অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।

আসামিকে গ্রেপ্তারের অগ্রগতি প্রতিবেদন কুমিল্লার পুলিশ সুপার ও বাঙ্গরা থানার ওসিকে ১৯ জানুয়ারি আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।

গত ৭ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘কুমিল্লার বাঙ্গরা : বোনকে ধর্ষণ ভাইকে কোপ, থানায় সালিস’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মুজিবুর রহমান।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৩ ডিসেম্বর প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে গ্রামের পাশে একটি ইটের ভাটায় নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করেন প্রতিবেশী নজরুল (৩০)। এ সময় কয়েকজন যুবক নজরুলকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। কিন্তু নজরুল প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি। পরদিন শনিবার প্রতিবন্ধী মেয়েটির ভাই নিজাম উদ্দিন ঘটনা শুনে নজরুলের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। তখন তাঁকে দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেন নজরুল। আহত নিজামকে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।