তুরাগতীরে লাখো মুসল্লি
টঙ্গীর তুরাগতীরে শুক্রবার থেকে তিনদিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে। আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে চলতি বছরের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে।
প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও বিশ্বের শতাধিক দেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি আখেরি মোনাজাতে শরিক হবেন।
শুক্রবার দ্বিতীয় পর্বের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিন হওয়ায় ইজতেমা ময়দানে পবিত্র জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। পবিত্র জুমার নামাজে দেশি-বিদেশি মুসল্লিসহ ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশ গ্রহণ করবেন।
আগামী রোববার বেলা ১১টা থেকে পৌনে ১২টার মধ্যে যে কোনো সময় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ২০১৭ সালের ৫২তম বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে।
বিশ্ব ইজতেমার মুরুব্বি মাওলানা গিয়াস উদ্দিন জানান, শুক্রবার ফজরের নামাজের পর বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের তিনদিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে।
বুধ ও বৃহস্পতিবার থেকে দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেওয়া ১৬টি জেলার মুসল্লিরা টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠে এসে অবস্থান নিচ্ছেন। তার মধ্যে অনেক মুসল্লি ময়দানের ভেতরে নিজ নিজ খিত্তায় গিয়ে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। টঙ্গী ইজতেমা মাঠে সুবিশাল চটের তৈরি প্যান্ডেলের নিচে দেশি-বিদেশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের আগমন বেড়েই চলেছে।
এদিকে, প্রথম পর্বের তিনদিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমায় ১৭টি জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় পর্বে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১৬টি জেলার মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন।
প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে ৬৪টি জেলার মধ্যে এ বছর বিশ্ব ইজতেমায় মোট ৩৩টি জেলার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। বাকি জেলার মুসল্লিরা আগামী বছর ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমায় শরিক হবেন বলে আজ জানিয়েছেন টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটি।
দ্বিতীয় পর্বে রাজধানী ঢাকাসহ যেসব জেলার মুসল্লি অংশ নেবেন তাঁরা হলেন- চাঁদপুর, নোয়াখালী, পাবনা, নওগাঁ, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, বরগুনা, বরিশাল, হবিগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, রাজবাড়ী, মেহেরপুর, লালমনিরহাট ও দিনাজপুর।
টঙ্গী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও পাঁচস্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ, গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য ইজতেমা মাঠে ও আশপাশে দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রথম পর্বের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা গত ১৩ জানুয়ারি শুক্রবার শুরু হয়ে ১৫ জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এরপর ১৬ জানুয়ারি থেকে ১৯ জানুয়ারি একটানা চারদিন বিরতি থাকে।
বিশ্ব তাবলিগ জামাতের আমির দিল্লির মাওলানা মুহাম্মদ সাদ প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে সারা বিশ্বের সব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, ঐক্য, সমৃদ্ধি, কল্যাণ, ইহকাল, পরকাল, মুক্তি, হেদায়েত, রহমত, মাগফিরাত, নাজাত, দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং মানবতার শান্তি কামনা করেন।