রংপুরে র‍্যাব ডিজি

৭ খুনের ঘটনায় র‍্যাবের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়নি

Looks like you've blocked notifications!
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় র‍্যাবের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাহিনীটির মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। ছবি : এনটিভি

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় বাহিনীটির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়নি।

আজ শুক্রবার দুপুরে রংপুর র‍্যাব-১৩ ব্যাটালিয়নে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন র‍্যাব ডিজি।

গত সোমবার নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের দুই মামলায় প্রধান আসামি নূর হোসেন ও র‍্যাবের তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ও নয়জনের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন।

রায়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‍্যাব-১১-এর চাকরিচ্যুত অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, চাকরিচ্যুত কমান্ডার এম এম রানা, চাকরিচ্যুত মেজর আরিফসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার বাকি নয় আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

বেনজীর বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক র‍্যাব সদস্যরা ব্যক্তিগতভাবে অন্যায় করেছে, তাদের দায় র‍্যাবের নয়। র‍্যাবই প্রথম এ ঘটনার তদন্ত করেছিল, তাদের গ্রেপ্তার করেছিল এবং বাহিনী থেকে বহিষ্কার করেছিল। এতে র‍্যাবের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়নি।’

‘র‍্যাবকে এলিট ফোর্স হিসেবে গঠন করা হয়েছে। যেকোনো মূল্যে র‍্যাবকে ক্লিন (স্বচ্ছ) রাখা হবে।’

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে র‍্যাবপ্রধান বলেন, পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে। পাশাপাশি র‍্যাবও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। দ্রুতই প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে।

কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ারুল লতিফসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। সে সময় র‍্যাবের পক্ষ থেকে হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে সাত হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোডের খানসাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের পাশ থেকে নাসিকের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তাঁর সহযোগী সিরাজুল ইসলাম লিটন, মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিমকে অপহরণ করে র‍্যাব-১১।

পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের এবং ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি এবং চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল পৃথক দুটি মামলা করেন।