উদ্বোধনের অপেক্ষায় সীমান্ত হাট
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যাত্রা শুরু করছে সীমান্ত হাট। বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীরা সপ্তাহে একদিন পণ্যের পসরা সাজিয়ে দুই দেশের ক্রেতাদের জন্য অপেক্ষা করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আগামী ৬ অথবা ৭ জুন এ সীমান্ত হাটের উদ্বোধন করবেন।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এনটিভি অনলাইনকে জানান, আগামী ৬ অথবা ৭ জুন বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সীমান্ত হাটের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।urgentPhoto
এরই মধ্যে শেষ হয়েছে হাটের নির্মাণকাজ। ২০১৪ সালের ২১ মে কসবা সীমান্তের ২০৩৯ নম্বর পিলারসংলগ্ন কমলা সাগরদীঘির উত্তরপাড়ে তারাপুর এলাকায় এই হাটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। তিন মাসের মধ্যে এর কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে তা পিছিয়ে যায়। বাংলাদেশের ৬৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ ও ভারতের ৬৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ ভূমিতে বাংলাদেশি দুই কোটি ৪৪ লাখ টাকায় এ হাট নির্মিত হয়েছে।
কসবা পৌরসভার মেয়র মো. ইলিয়াছ আলী জানান, সীমান্ত হাট প্রতি সপ্তাহে একদিন বসবে। প্রতি বৃহস্পতিবার ওই হাট বসবে। সীমান্ত হাটে বাংলাদেশের ২৫ জন ও ভারতের ২৫ ব্যবসায়ী নির্ধারিত পণ্যদ্রব্য বিক্রি করতে পারবেন। বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত হাটের কার্যক্রম চলবে।
সীমান্ত হাটে বাংলাদেশের ১৫ ও ভারতের ১৬টি পণ্য স্থান পাবে। বাংলাদেশ থেকে হাটে বিক্রির জন্য অনুমোদিত পণ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে বিস্কুট, লুঙ্গি, ফলমূল, স্থানীয় কুটিরশিল্পে উৎপাদিত সামগ্রী ইত্যাদি। ভারত থেকে সীমান্ত হাটে বিক্রির জন্য অনুমোদিত পণ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে শাকসবজি, ফলমূল, মসলাজাতীয় দ্রব্য, বনজ ও কুটিরশিল্পে উৎপাদিত দ্রব্য, কৃষি উপকরণ, চা, অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রী ইত্যাদি।
বিজিবির ১২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই হাটে যাতে অবৈধ কোনো পণ্য না আসে, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি থাকবে।’