স্টার প্লাস, জলসা, জি বাংলা নিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হবে
ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল স্টার প্লাস, স্টার জলসা ও জি বাংলা বন্ধ চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। এর বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী এখলাসউদ্দিন ভূঁইয়া।
আজ রোববার রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় এখলাসউদ্দিন সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
এখলাস জানান, ভারতীয় এসব টিভি চ্যানেলে প্রচারিত বিভিন্ন সিরিয়ালের কারণে বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যে আঘাত হানা হচ্ছে। স্বামী-স্ত্রীসহ প্রত্যেক পরিবারেই কলহ-বিবাদ চলছে। এরই মধ্যে এসব সিরিয়াল দেখে প্রভাবিত হয়ে ২০ জনের মতো নাগরিক আত্মহত্যা করেছে। অনেক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে। এ ছাড়া শিশুদের নৈতিক অবক্ষয় হচ্ছে। বিষয়টি জনস্বার্থে চিন্তা করে রিট করা হয়।
রিটকারী আইনজীবী বলেছেন, আদালত রায়ে বলেছেন, যদি কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে দণ্ডবিধির ২৮ ধারা অনুযায়ী মামলা করা যেতে পারে। বাংলাদেশে এসব চ্যানেল, সিরিয়াল পর্যবেক্ষণের জন্য কমিটি রয়েছে। তারা এ দায়িত্ব নিতে পারে। পরক্ষণে আদালত শুনানি শেষে রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন। এ রায়ে তিনি সংক্ষুব্ধ। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। আশা করা যায়, আপিল বিভাগে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে।
এখলাসউদ্দিন আরো বলেন, রিট আবেদনে বলা হয়, টেলিভিশন চ্যানেল নিয়ন্ত্রণ অনুযায়ী, ১৯ ধারা লঙ্ঘন করলে ২০ ধারা অনুযায়ী চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া যায়। আদালত এই যুক্তি আমলে না নিয়ে রিট আবেদন খারিজ করে দেন।
এর আগে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি খারিজ করেন।
গত ২৫ জানুয়ারি রিটটি পঞ্চম দিনের মতো শুনানি শেষ হয়। আজ ২৯ জানুয়ারি এ রিটের রায় ঘোষণা করা হয়।
২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে ভারতীয় এই তিন টিভি চ্যানেল বন্ধে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ওই সময় বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়।
এর আগে ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন। এতে ভারতীয় সব চ্যানেল বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়।