অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাই চিহ্নিত
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/01/31/photo-1485849680.jpg)
ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যায় জড়িত সবাইকে চিহ্নিত ও শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন কমিশনার।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বইমেলা থেকে বের হওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ব্লগার অভিজিৎ রায় ও তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করে দুর্বত্তরা। এতে অভিজিৎ ঘটনাস্থলেই মারা যান। তবে বেঁচে যান তাঁর স্ত্রী বন্যা।
এই হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড যেটা হয়েছে, সেই হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত ছিল, আমরা সবাইকে চিহ্নিত এবং শনাক্ত করেছি। কিছু আসামিকে অলরেডি (ইতিমধ্যে) আমরা গ্রেপ্তার করেছি, আটজন আসামিকে এবং আরো কয়েকজন আসামি শনাক্ত হয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।’
বাংলা একাডেমি আয়োজিত একুশে বইমেলায় ‘জঙ্গিবাদ’ কিংবা ‘ধর্মবিদ্বেষ’ ছড়ানো বইয়ে পুলিশ নজর রাখবে বলে জানান আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, ‘মুক্তচিন্তা করতে গিয়ে আপনি যদি কোনো মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেন, গোষ্ঠীগত দাঙ্গা সৃষ্টিতে উসকানি দেন, কারোর মৌলিক অধিকারকে হরণ করেন, সেটা মুক্তবুদ্ধির মধ্যে পড়ে না। এ দুটোকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না।’
‘আমি শুধু বলব, যেটি দেশের প্রচলিত আইনে দণ্ডযোগ্য অপরাধ, এমন কর্ম যদি কেউ করে, তাহলে আইনের বিধানমতোই আমরা ব্যবস্থা নেব।’
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এবারের বইমেলায় জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্ট কিংবা ধর্মবিদ্বেষ তৈরি করতে পারে এমন কোনো বই প্রকাশ ও বিক্রি হচ্ছে কি না, তা দেখবে বাংলা একাডেমি। এরপর ডিএমপি এ বিষয়ে নজরদারি রাখবে। এ ধরনের বই প্রকাশ ও বিক্রি করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বইমেলা উপলক্ষে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, বইমেলার নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে শঙ্কাবোধ করলে যেকোনো লেখক-প্রকাশক নিরাপত্তা পাবেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বইমেলা এলাকার প্রতি ইঞ্চির নিরাপত্তার বিষয়টি জোরালোভাবে দেখা হচ্ছে। বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পুরো বইমেলা এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। সার্বক্ষনিক সিসিটিভি মনিটরিং করা হবে।