ঢাকার নদী রক্ষায় সাড়ে নয় হাজার পিলার স্থাপনের সিদ্ধান্ত

ঢাকা শহরের চার পাশের বেদখল হওয়া নদীর তীর উদ্ধার করে সাড়ে নয় হাজার আরসিসি পিলার স্থাপন করা হবে।
ঢাকার চারপাশে নদীগুলোর দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত ‘টাস্কফোর্স’-এর ৩৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চট্টগ্রামের হালদা ও কর্ণফুলী নদীর দূষণ ও নাব্যতা নিয়েও আলোচনা হয়।
নৌপরিবহনমন্ত্রী ও টাস্কফোর্সের সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন উপস্থিত ছিলেন।
নৌমন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরের চারপাশে ৫০ কিলোমিটার এলাকায় ৯ হাজার ৫০০টি আরসিসি পিলার নির্মাণ করা হবে। নদী বন্দর এলাকায় শক্ত আরসিসি সীমানা পিলার নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর দূষণরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সাভারে এ পর্যন্ত ৪৩টি বড় ধরনের ট্যানারি শিল্প স্থানান্তরিত হয়েছে। নদী তীরে ধর্মীয় স্থাপনা বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করা হবে। নদী রক্ষা বিষয়ে গৃহীত কার্যক্রম গণমাধ্যমে প্রচার, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও অবৈধ স্থাপনা বন্ধে নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
সভায় জানানো হয় যে, নদীর সীমানা ও তীরভূমি নিয়ে জটিলতা নিরসনকল্পে জরিপ অধিদপ্তর থেকে নকশা তুলে জেলা প্রশাসকদের সরবরাহ করার লক্ষ্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছে। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও মানিকগঞ্জের জন্য দুই হাজার ৫৮৬টি সিএস জরিপ ম্যাপ এবং দুই হাজার ৭৩টি আরএস জরিপ ম্যাপ সংগ্রহ করা হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নদী বন্দর এলাকায় নদীর ফোরশোরের ইজারার অর্থ বিআইডব্লিউটিএ ছাড়া অন্য কারো কাছ থেকে নেওয়া যাবে না। সভায় পুনর্জরিপের কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নদীর দুই তীরে সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরভূমিতে স্থাপিত ১৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পুনরায় উদ্ধারে গুরুত্ব আরোপ করা হয়।