বাউফলে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট

Looks like you've blocked notifications!

পটুয়াখালীর বাউফলের নওমালা ইউনিয়নের নিজ বট কাজল গ্রামে শনিবার রাতে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত চারটি বাড়ির ১৭টি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিরা জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় স্থানীয় আশুরীর হাটে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুরেন মাঝির সাথে একই গ্রামের উজ্জ্বল, আল-আমিন, আবুল মীর ও সবুজের তর্ক-বিতর্ক হয়। এর জের ধরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে উজ্জ্বল, আল-আমিন, আবুল মীর ও সবুজের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সুরেন মাঝি, কালা চান মাঝি, শ্যামল হালদার ও  জগলুল হালদার বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় তাঁরা ওই চারটি বাড়ির ১৭টি ঘরে ভাঙচুর করেন। তাঁরা পাঁচ হাজার টাকা, দুটি মুঠোফোনসহ মালামাল লুট করেন। এ সময় এলোপাতাড়ি হামলায় আলো রানী (৪৫), রেনু বালা (৩৫), অঞ্জলী রানী (৩০), আলপনা রানী (১৮), ভব রঞ্জন (৫৫), সুন চন্দ্র (২৫), সবুজ চন্দ্র (২৮), গোপাল মাঝি (৫৪), সজল ভদ্রসহ (২২) কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আলো রানী, ভবরঞ্জন ও সুমন চন্দ্রকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

হামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে বাউফল থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল জানান, তেমন কিছু হয়নি। একজনের একটি দরজা আর একটি ঘরের খুঁটি ভাঙচুর করা হয়েছে। হাসপাতালে থাকা ব্যক্তিরা তেমন আহত হননি।

এদিকে এ ঘটনায় সবুজ চন্দ্র মাঝি বাদী হয়ে বাউফল থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ জনের নামে একটি মামলা করেন। পুলিশ সোবাহান মীর নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিমুল হক জানান, এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আজ রোববার সকালে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ ও বাউফল থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।