ব্লগার অনন্ত হত্যায় সাংবাদিক গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ইদ্রিস আলীর পুরনো ছবি।

ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইদ্রিস আলী নামের এক ফটোসাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ সোমবার সিলেটের আদালত সাত দিনের হেফাজতে নেওয়ার (রিমান্ড) আদেশ দিয়েছেন।

ইদ্রিস আলী সিলেটের স্থানীয় দৈনিক সবুজ সিলেট ও জাতীয় দৈনিক সংবাদের ফটোগ্রাফার হিসেবে সিলেটে কর্মরত আছেন।

সিআইডির সংঘবদ্ধ অপরাধ শাখার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল বাকী জানান, ঢাকা থেকে তাঁদের শাখার পরিদর্শক আরমান আলীর নেতৃত্বে একটি দল গতকাল রোববার রাতে সিলেট থেকে ইদ্রিস আলীকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ সোমবার তাঁকে সিলেট মহানগর দ্বিতীয় আদালতে হাজির করে ১৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক ফারহানা ইয়াসমীন সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরে ইদ্রিস আলীকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

আরমান আলী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অনন্ত বিজয় দাশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এবং যৌক্তিক কিছু কারণে ইদ্রিস আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যা মামলায় এই প্রথম একজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। আমরা বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি। সেসব নিয়ে তদন্ত কাজ এগিয়ে চলছে।’

গত ১২ মে সকালে ব্যাংকে যাওয়ার পথে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারে ধাওয়া করে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা মুক্তমনা ব্লগার ও বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অনন্ত বিজয় দাশকে কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি মুক্তমনা ও সামহোয়ার ইন ব্লগে লেখালেখি করতেন। 

৩৪ বছর বয়সী অনন্তের সম্পাদনায় সিলেট থেকে প্রকাশিত হচ্ছিল বিজ্ঞানবিষয়ক ছোটকাগজ ‘যুক্তি’। হত্যাকাণ্ডের পর পরই আনসার বাংলা ৮ নামের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়, আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা একিউআইএস এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

শুরু থেকে মামলাটি পুলিশ তদন্ত করছিল। তারা কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পরে গত ২৫ মে অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার তদন্তভার সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। এরপর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গতকাল রোববার রাতে প্রথম একজনকে গ্রেপ্তার করল তারা।